“মুক্তমনা
নয় মূত্রমনা”
যারা
নিজেদের মনগড়া চিন্তাভাবনা ও অলীক মতবাদ (যেমন ডারউইন, এরিস্টটল, ডকিন্স, ফ্রয়েড) এর
অনুসারী সেই নাস্তিকরা নিজেদের ‘মুক্তমনা’ ও ‘প্রগতিশীল’ বলে মনে করে, আর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা যিনি
সেই আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীনের
বেঁধে দেওয়া জীবন বিধান যারা মেনে চলে তাদেরকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে। ‘আল্লাহ্ তাআ’লা পুরুষদেরকে একাধিক বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন’ - বিবেকহীন পশু, দুই পায়ের এই মানুষ শয়তানগুলো
এই আইনের বিরুদ্ধে লাগে, কিন্তু নাস্তিকগুরুরা যখন সমকামিতা (নারী-নারী ও পুরুষে-পুরুষে
মিলন) ও অজাচার (পিতা-মাতা, আপন ভাই অথবা বোনের সাথে মিলন! নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক!!),
এই ধরণের পাশবিক কাজগুলোর পক্ষে তর্ক করে। এমন বিবেকহীন নিকৃষ্ট মানুষ, যাদের স্বাভাবিক
মানবিক গুণাবলী লোপ পেয়েছে, তাদের ব্যপারে ক্বুরানুল কারীমের বক্তব্য হচ্ছে,
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা
বলেন,
“আপনি
কি তার দিকে লক্ষ্য করেন নি, যে তার নিজের হাওয়া (প্রবৃত্তিকে) মাবূদ হিসেবে গ্রহণ
করেছে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে
অথবা বোঝে? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং তার চাইতেও পথভ্রষ্ট।”
[সুরা আল-ফুরক্বানঃ ৪৩-৪৪]
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা
আরো বলেন,
“আর
আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তার
দ্বারা তারা চিন্তা-ভাবনা করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা দেখেনা, আর
তাদের কান আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের
চাইতেও নিকৃষ্টর। তারাই হল উদাসীন ও শৈথিল্যপরায়ণ।”
[সুরা আল-আ’রাফঃ ১৭৯]