পারিবারিক
জীবনঃ পুরুষদের মাঝে দুইটি মন্দ স্বভাব
১.
জেলাসী না থাকাঃ
সাধারণত
জেলাসী মানে হলো কারো ভালো দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়া বা হিংসা করা। এটা খুবই খারাপ,
হিংসা মানুষের নেক আমলকে ধ্বংস করে, ব্যক্তিকে মানসিক কষ্টে পোড়ায়। তাই কারো ভালো দেখে
তার প্রতি হিংসা করা যাবেনা। বরং, কারো কোনো কল্যান দেখলে বলতে হবে “মা শা’ আল্লাহ তাবারাকাল্লাহ”, এই কথা বললে, আপনার চোখের নজর থেকে আপনার কোনো
মুসলিম ভাই বা বোনের ক্ষতি হওয়া থেকে নিরাপদ থাকবে।
আমি
যেই জেলাসীর কথা বলছি সেটা হচ্ছে, নিজেদের ঘরের নারীদের বাইরে প্রদর্শনী করে বেড়ানো।
এর কারণ হলো, তার মধ্যে এই অনুভূতিটা নাই যে, লম্পট পুরুষ তার ঘরের মেয়েদের দিকে খারাপ
দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকুক, আজেবাজে মন্তব্য করুক – তাতে তার কিছু যায় আসেনা।
এইধরণের
বিশেষ অনুভূতিহীন পুরুষদেরকে হাদীসের ভাষায় দাইয়ুস বলা হয়। আর ৩ শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামে
যাবেই, তাদের মধ্যে এক প্রকার হচ্ছে দাইয়ুস পুরুষ।
২.
নারীদের গায়ে হাত তোলাঃ
রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) তাঁর স্ত্রীদের গায়ে কোনোদিন হাত তুলেন নি। নারীদের গায়ে হাত তোলা পুরুষ হচ্ছে
নিজেই দুর্বল – মানসিক দিক থেকে। এই জন্য নারীদের গায়ে হাত
তুলে সে মনে মনে আত্মতৃপ্তি অনুভব করে, বাহাদুরীর কাজ বলে মনে করে। নারীদের মধ্যে অবাধ্যতা
চরম মাত্রায় পৌঁছালে তাদেরকে শাসন হিসেবে ‘মৃদু প্রহার’ করা শরীয়ত সম্মত। তবে আমি যতগুলো কেইস জানি,
কোথাও এইরকম কাহিনী হয়েছে, সেটাকে
শরীয়তের দিক থেকে ‘জায়েজ’ বলা যাবেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বামীর খামখেয়ালী
আচরণ, বদমেজাজী, রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারা. . .স্ত্রীদেরকে
মারধদের জন্য এরকম বদ চরিত্রই বেশি দায়ী। আর একথা বলা রাখেনা, স্ত্রীদের অন্যায় মারধর
ও নির্যাতনকারী একজন জালেম ও পাপীষ্ঠ লোক। এরকম পাপী লোকদের উচিত যত শীঘ্রই স্ত্রীর
কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়া।
এদের
ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা
স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো”।
আল্লাহ
আমাদের পারিবারিক জীবনকে সুন্দর করুন।
বিঃদ্রঃ
আমার এ লেখায় ভুল-ত্রুটি হলে আল্লাহর মাফ করুন। আর কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে আশা করি
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।