প্রশ্নঃ ওযু ছাড়া ক্বুরানুল কারীম স্পর্শ করা যাবে?
উত্তরঃ না,
ওযু ছাড়া ক্বুরানুল কারীম স্পর্শ করা যাবেনা, কারণ
রাসুল সাঃ এই কাজটা করতে নিষেধ করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“পবিত্রতা
ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবেনা।”
সুনানে দারেমীঃ ২১৬৬,
শায়খ বিন বাজ, শায়খ উসাইমিনের মতে হাদীসটির
সনদ জাইয়্যিদ (অর্থাৎ, সহীহ)।
একারণে, ইমাম
আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও
ইমাম আহমাদ - তাঁদের সকলের মাযহাব অনুযায়ী ওযু ছাড়া ক্বুরান স্পর্শ করা জায়েজ নয়।
এছাড়া, আধুনিক যুগের আলেমদের মাঝে শায়খ বিন বাজ ও শায়খ ইবনে
উসাইমিন ২ জনেই পূর্ববর্তী আলেমদের সাথে একমত হয়েছেন। তবে কারো উপর গোসল ফরয নাহলে
সে ওযু ছাড়া স্পর্শ না করে শুধু দেখে বা মুখস্থ ক্বুরান তেলাওয়াত করতে পারবে।
তবে লক্ষ্য করুন,
ওযু ছাড়া ক্বুরান স্পর্শ করা নিষেধ শুধুমাত্র যেটাতে আরবী ক্বুরানের
আয়াত আছে সেটা। ওযু ছাড়া হাদীস, তাফসির বা অন্যান্য দ্বীনি
যেকোন বই পুস্তক স্পর্শ করা এবং পড়া যাবে। এর কারণ হচ্ছে, বাংলা
বা ইংরেজী অনুবাদ ক্বুরান নয় এটা ক্বুরানের আয়াতের অর্থ, যার
মর্যাদা ক্বুরানের সমান হয়। এই মর্যাদার পার্থক্য সহজেই বুঝবেন, আরবী ক্বুরান আল্লাহর কথা, এতে বিন্দু পরিমান ভুল
নেই। আর অনুবাদ মানুষের কাজ, আর মানুষের কাজের মাঝে ভুল থাকবেই,
থাকতে বাধ্য। এইজন্য ক্বুরানের আয়াতের সাথে অন্য কিছু থাকলে তাঁর
মর্যাদা আর ক্বুরানের মর্যাদা এক নয়।
ওযু ছাড়া শুধু কুরআনের অনুবাদ বা ইমাম মালেকের মতে যেখানে ৫০% এর বেশি আরবী
কুরানের আয়াত ছাড়া অন্য কোনো কিছু থাকে (যেমন - তর্জমা, তাফসীর হাদীস বা অনুবাদ) সেটাও
ওযু ছাড়াই স্পর্শ করা যাবে।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন ‘ফাতওয়া
আরকানুল ইসলাম’ এর পবিত্রতা অধ্যায়, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন (রহঃ)।