‘ফতোয়া’ নেওয়ার ব্যপারে কিছু সতর্কতাঃ
=>
ফতোয়া নিতে হয় একজন ‘মুফতি’র কাছ থেকে, কোন ডাক্তার বা
ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে নয়।
=>
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সাধারণ মানুষেরা ক্বুরান ও হাদীস পড়বেন, ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবেন, এবং যতটুকু নিশ্চিতভাবে জানেন,
সেটা তারা প্রচারও করতে পারবেন। কিন্তু ‘ইজতেহাদ’ বা ক্বুরান ও হাদীস গবেষণা করে ফতোয়া
দেওয়ার যোগ্যতা ও এখতিয়ার শুধুমাত্র ‘মুজতাহিদ’ আলেমগণের।
=> কোন একজন ‘মুজতাহিদ’ যদি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হন, কোন সমস্যা
নেই তিনিও ফতোয়া দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিংশ শতাব্দীর ‘মুজাদ্দিদ’ ও হাদীস শাস্ত্রের ‘ইমাম’, মুহাম্মাদ
নাসির উদ্দিন আলবানী (রহমাতুল্লাহি আ’লাইহি)
দ্বীনি জ্ঞান প্রচার করার পাশাপাশি ঘড়ি মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তবুও
তিনি আরব-অনারব সবার কাছে শীর্ষস্থানীয় আলেম হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন, দ্বীনি
বিষয়ে তাঁর পাহাড় সমান জ্ঞানের কারণে। ফতোয়া দেওয়ার শর্ত হচ্ছে কারো মাঝে ‘ইজতেহাদ’ করার মতো যথেষ্ঠ জ্ঞান বিদ্যমান থাকা। একজন
ডাক্তার মুখস্থ বিদ্যায় যতই পারদর্শী হন না কেনো, ইঞ্জিনিয়ার সাহেব যতই সুন্দর
বিমানের নকশা বানান কেন, একজন তর্কবাগিশ যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনে যতই দক্ষ হয়ে থাকুন
না কেনো, ফতোয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে এইগুলো কোন ‘বিশেষত্ব’ বলে বিবেচিত হয়না।
=> বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এমন কিছু বড় আলেমদের নাম, যারা ইতিমধ্যেই
আমাদেরকে থেকে বিদায় নিয়েছেনঃ
১. ইমাম আব্দুল
আজিজ বিন বাজ রহঃ, আকীদা ও ফিকহের ব্যপারে শীর্ষস্থানীয় আলেম (সৌদি আরাবিয়া)।
২. ইমাম মুহাম্মাদ
নাসির উদ্দিন আল-আলবানী রহঃ, আকীদা ও মানহাজ, হাদীস, জারহ ওয়া তাদীল শাস্ত্রের
যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম (আলবেনিয়া)।
৩. ইমাম
আব্দুর রহমান মুবারকপুরী রহঃ, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস (ভারত)।
৪. ইমাম
মুহাম্মদ আমি আল-শানকিতি রহঃ, স্বনামধন্য মুফাসসির (মৌরিতানিয়া)।
=> বর্তমানে বয়স ও জ্ঞানের থেকে এগিয়ে, এমন জীবিত বড় ওলামাদের মাঝে
রয়েছেনঃ
১. শায়খ সালেহ আল-ফাওজান হা’ফিজাহুল্লাহ
(সৌদি আরাবিয়া)।
২. শায়খ সালেহ বিন আব্দুল আজীজ আলে-শায়খ হা’ফিজাহুল্লাহ (সৌদি আরাবিয়া)।
৩. শায়খ আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ হা’ফিজাহুল্লাহ (মদীনা)।
৪. শায়খ উয়াসী উল্লাহ আব্বাস হা'ফিজাহুল্লাহ (ভারত, বর্তমানে মক্কায় অবস্থানরত)।
=> উল্লেখ্যঃ আমাদের দেশে সর্ব বিষয়ে ইজতেহাদ করার যোগ্যতা রাখেন, এমন
মানের কোন বড় আলেম নেই, না হানাফী, না আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের মাঝে। তবে দ্বীনি
জ্ঞান চর্চায় আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্থান এগিয়ে থাকায় সেখানে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’ এর অনুসারী কিছু বড় আলেম রয়েছেন।
=> ইংরেজী ভাষাভাষী বিদেশী ‘সেলেব্রিটি
স্পিকার বা বক্তা’
যাদেরকে বলা হচ্ছে, এরা এই সমস্ত আলেমদের ছাত্র হওয়ার মতো যোগ্যতা আছে কিনা সন্দেহ,
যদিও লোকে তাদেরকে যত বড় আলেমই মনে করে থাকুক না কেনো।