ভারতীয় উপমহাদেশে হানাফীরা ৫ ভাগে বিভক্ত
হয়েছেঃ
১. কাদিয়ানী – এরা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নামে এক দাজ্জাল যে মিথ্যা নবুওতীর দাবী করেছিলো
তার উম্মত। এরা নিজেদেরকে “আহমদীয়া” নামে পরিচয় দেয়। এরা
পরিষ্কার কাফের ও মুরতাদ।
২. মওদুদী জামাত – এরা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদীর অনুসারী। এদের সংগঠনের নাম জামায়েতে
ইসলামী। ইসলাম ধর্মের রাজনৈতিক অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে তারা গণতন্ত্রের শিরকী
কুফুরীকে জায়েজ বানিয়েছে, হরতালকে জিহাদের সমান বানিয়েছে,
নির্বাচনকে ওহুদ-বদরের ময়দান বানিয়েছে। আর এই তরীকায় মারামারি করে
কেউ মরে গেলে তারা শহীদ হিসেবে সার্টিফিকেট দেয় আর বড় পুণ্যের কাজ বলে মনে করে।
ক্ষমতায় যাবার জন্য যেকোনো সময় তারা তাদের নীতি-গতি পরিবর্তন করে। একবার নারী
নেতৃত্ব হারাম অনৈসলামিক ফতোয়া দেয়, আবার ক্ষমতায় যাবার জন্য
হুদায়বিয়ার চুক্তির দোহাই দিয়ে জায়েজ বলে তর্ক করে।
৩. বেরেলভী – এরা আহমাদ রেজা খান বেরেলবীর অনুসারী। এরা নিজেদেরকে “রিজভী”, “বেরেলবী” বা কখনো “সুন্নী” নামে পরিচয় দেয়, যদিও সুন্নতের সাথে তাদের কোনো সম্পর্কে নেই। তাদের কাছে ধর্ম মানেই হলো
কবর, মাজার আর পীর পূজা। এদের শিরকি কুফুরী অনেক ক্ষেত্রে
হিন্দুদের মতোই। মাযারে সিজদা দেওয়া, পীরকে খুশি করার জন্য
পীরের পায়ে খাসি-মুরগি উতসর্গ করা, বিপদে পড়ে আল্লাহকে না
ডেকে পীর-বুজুর্গদেরকে ডাকা, বানোয়াট শীরকি কাহিনী দিয়ে ওয়াজ
করা...এমন বহু অপকর্মের সাথে জড়িত এই বিদাতী সূফীরা। দেওয়ানবাগি, কুতুববাগী, রাজারবাগি, সাইদাবাদী,
আটরশী, মাইজভান্ডারি, মানিকগঞ্জ...এদের
প্রধান প্রধান পীরের তরিকাগুলোর নাম।
৪. দেওবন্দী – এরা দেওবন্দ মাদ্রাসা ও তার আলেমদের অন্ধ ভক্ত। তারা মনে করে দেওবন্দ
হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা যদিও ভারতের বাইরে এই মাদ্রাসাকে মানুষ চিনেইনা, এইখানে পড়তে আসাতো দূরের কথা। এরা মক্কা-মদীনার আলেমদের সাথে সাথে উপরে
উপরে ভাব দেখায়, কিন্তু অন্তরে তাদের সাথে দুশমনি রাখে ও
তাদের নামে মিথ্যা ও বাজে কথা প্রচার করে বেড়ায়। দেওবন্দী আলেমদের মাঝে অনেক শিরকি
কুফুরী লক্ষ্য করা যায় যেগুলো বেরেলবীদের মাঝেও দেখা যায়। তবে পার্থক্য হলো – দেওবন্দীদের শিরকি
কুফুরীগুলো অনেকটা গোপন, অধিকাংশ মানুষই জানেই না।
৫. তাবলিগ জামাত – মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের স্বপ্নে প্রাপ্ত ধর্ম তাবলিগ জামাত নিজেদের মনমতো
দাওয়াত ও তাবলিগের একটা জামাত যাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলাম নাম দিয়ে দেওবন্দী
মতবাদ প্রচার করে যাওয়া। এরা কুরান হাদীস বাদ দিয়ে ফাযায়েল আমাল নামক একটা ভেজালের
কেতাব পড়ে ও আমল করে আমাদের দেশে অনেক বেদাত ও ভ্রান্ত মতবাদের মূল উৎস এই ভেজাল
আমল।
____________________________
পরিশেষে, এই
৫টা দলই নিজেদেরকে হানাফী হওয়ার দাবী করে কিন্তু আসলে এরা কেউই প্রকৃত হানাফী নয়।
কারণ ইমাম আবু হানীফা ছিলেন খালেস কুরান ও সুন্নতের অনুসারী – আর এরা হচ্ছে নিজদের ফেরকার
অন্ধ অনুসারী। এইজন্য হানাফী নামে ৫টা দলে ভাগ হয়েছে – এবং এক দল আরেক দলের সাথে
চরম বিরোধ।
সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত এই ৫টা ভ্রান্ত দল থেকেই দূরে থাকা। আর
নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী কুরান ও সুন্নতের সত্যিকারের আলেমদের কাছ থেকে ইলম শিক্ষা
করে সেই অনুযায়ী জীবন গঠন করা। আল্লাহ আমাদের তোওফিক দান করুন, আমীন।