বুধবার, ১১ মার্চ, ২০১৫

~ সৌদি আরবের সাথে কেন আমেরিকার সুসম্পর্ক ??

~ সৌদি আরবের সাথে কেন আমেরিকার সুসম্পর্ক ??

এর কারণ জানতে হলে আমাদের "সৌদি আরব" গঠিত হবার ইতিহাস জানতে হবে। তখন সৌদি আরব তুর্কিদের দখলে ছিল। ১৭৪৪ সালে রিয়াদের নিকটস্থ দিরিয়া নামের স্থানে মুহাম্মদ বিন সৌদ ও ইমাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব "দিরিয়ায়ে আমিরাত" গঠন করেন। তখন থেকেই শুরু হয় তাদের নির্ভেজাল তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও বিদআতের বিরুদ্ধে কোঠার লড়াই। তাদের প্রথম টার্গেট ছিল সকল পাকা মাজার ভেঙে ফেলা ও সমাজ থেকে শিরক-বিদআত মুছে ফেলা। ১৭৬৫ সালে মুহাম্মদ বিন সৌদ এর মৃত্যু হলে তার ছেলে আবদুল আজিজ দিরিয়ায় ক্ষমতাসীন হন। তখন থেকে চলতে থাকে তুরকিদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই। এরপর দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ মক্কা-মদিনা-জেদ্দার গোত্রীয় নেতাদের সমর্থনে হেজাজের সুলতান হন । ১৯২৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ইবনে সৌদ নজদ ও বর্তমান হেজাজ মিলিয়ে Kingdom of Nejd and Hejaz ঘোষণা করেন। অবশেষে ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে একত্রিত করে তার নিজের ও বংশের পদবি অনুসারে দেশের নাম Kingdom of Saudi Arabia (আরবি: المملكة العربية السعودية ) ঘোষণা করেন। তাদের এ যুদ্ধে ব্রিটিশরা অস্ত্র ও সরঞ্জাম দিয়ে ব্যপক ও বিশাল পরিসরে সাহায্য করেছিল। যার কারণেই তখন থেকে তারা ব্রিটিশদের প্রতি কৃতজ্ঞ ও তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে । এরপর আমেরিকা ব্রিটিশদের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী হয়ে উঠলে সৌদি আরব তাদের সাথেও সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। এটা হল প্রধান কারণ এবং আরেকটি কারণ হল তাদের শত্রুতা ও অনিষ্ঠ থেকে আত্নরক্ষার জন্যই তারা আজও আমেরিকার সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে।

কিছু মূর্খ লোক (জঙ্গি ও বিদআতি-মাযারপুজারিরা) কুরাআনের ১টি আয়াত দিয়ে অপব্যখ্যা করে সৌদি বাদশাহদের কাফির বলে ফতোয়া দেয় । কিন্তু পুরা আয়াত তারা বলে না কারণ সেখানেই তার উত্তর আছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ
" মুমিনগণ যেন মুমিনগণকে ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ না করে, এবং তাদের আশংকা হতে আত্মরক্ষা ব্যতীত যে এরূপ করে সে আল্লাহর নিকট সম্পর্কহীন; আর আল্লাহ তোমাদেরকে স্বীয় পবিত্র অস্তিত্বের ভয় প্রদর্শন করছেন এবং আল্লাহরই দিকে ফিরে যেতে হবে।" (সুরা ইমরান- ২৮)

কাজেই না জেনে আমাদের মনে ভুল ধারনা রাখা উচিত নয়। তারা কেন সুসম্পর্ক রাখছে তা আগে ভাল করে বুঝা উচিত।


- আব্দুর রহমান সালাফি