“কথিত
‘আল্লামাহ’ শফি সাহেবের ভ্রান্ত
আকিদাহ”
[সম্পূর্ণ পোস্ট না পড়ে কমেন্ট
করা নিষিদ্ধ]
১. বিদআ’তী বায়াতঃ
শফি হুজুর একটা রুমাল ছেড়ে
দিলো তার মুরীদদের দিকে উদ্দেশ্য করে, এর
পরে সবাইকে বললো চিশতীয়া, নকসবন্দী, কাদেরী,
সোহরাওয়ার্দী নামে ৪টি সূফী বিদআ’তী তরীকার উপরে মানুষকে বায়াত
করছে। (ভিডিওতে দেখুন)
আমরা সকলেই জানি জান্নাতে
যাওয়ার রাস্তা হলো একটা – আর
সেটা হলো – ইসলাম।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
“যে
লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও
তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।“
সুরা আলে-ইমরান,
আয়াত ৮৫।
ইসলাম মানেই হচ্ছে সুন্নাত
অর্থাত, নবীর তরীকা।
"বলুন,
যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে
(নবীর সুন্নত) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন
এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী
দয়ালু।"
সুরা আলে-ইমরান।
সুবহা’নাল্লাহ! কত স্পষ্ট জিনিস
তারপরেও মানুষেরা বুঝতে পারেনা। সেইজন্য বিদাতী আলেমদের লম্বা পাঞ্জাবী আর পাগড়ি
দেখে ধোঁকায় পড়ে নবী সাঃ তরীকা ছেড়ে চিশতীয়া, নকসবন্দী,
কাদেরী, সোহরাওয়ার্দী এইরকম শয়তানের দেওয়া
তরীকা মানে।
২. বাংলাদেশে সবচাইতে বড়
দেওবন্দী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম হাটহাজারী
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, দেশে দেওবন্দীদের সবচাইতে বড় আলেম,
মাওলানা আহমাদ শফি সাহেব তার কিতাব “ইরশাদাতে মুরশিদীতে” লিখেছেনঃ
“হোসাইন
আহমদ মাদানীকে মদীনায় তার ছাত্ররা প্রশ্ন করলো, রাসুল সাঃ কি কবরে জীবিত? তিনি বললেন, আলমে মেছালীতে রাসুল সাঃ জীবিত, কিন্ত ছাত্ররা দলিল
প্রমাণাদী পেশ করলো যে কোরআনে সূরা যুমারের ৩০নং আয়াতে বলা হয়েছে “(হে নবী!) নিশ্চয় আপনি
মৃত্যুবরণ করবেন আর তারাও মৃত্যুবরণ করবে”
। মাদানী ছাত্রদেরকে বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে বুঝাতে চেষ্টা করলেন,
কিন্ত তারা বুঝতে অপ্রস্তুত, এরপর মাদানী
ছাত্রদেরকে নিয়ে রওযায়ে আতহারের কাছে নিয়ে গেলেন এবং হাত দিয়ে ইশারা করলেন,
এই ইশারাতে রাসুল সাঃ রওযা থেকে মাথা উঠিয়ে সকলকে দেখা দিয়ে আবার
মাটির নিচে লুকিয়ে গেলেন”!!?
শফি সাহেবের লিখিত কিতাবঃ
ইরশাদাতে মুরশিদী, পৃষ্ঠা ৪২।
মন্তব্যঃ ডাহা বানোয়াট,
মিথ্যা কাহিনী দিয়ে মৃত্যুর পরেও কোন ব্যক্তি দুনিয়াতে আসে - এই
কুফুরী আকীদা বয়ান করা হয়েছে। এছাড়া একজন মানুষের ডাকে রাসুল সাঃ কবর থেকে বের হয়ে
এসেছেন – এইরকম
ভুয়া কাহিনী বলে রাসুল সাঃ এর সম্মান ও মর্যাদারও হানি করা হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)।
৩. শফি হুজুরের নতুন কিছু
বিদাতী আমলের নমুনা
আল্লাহর দুনিয়াতে বাংলাদেশ
নামে একটা দেশ আছে, এই দেশে অসম্ভব অনেক
কিছুই পাওয়া যায় – চাই
সেটা আপনার ভালো লাগুক, আর না লাগুক। এমনই আজিব একটা ব্যাপার
হলো, এইখানে ‘ইসলাম’ নাম
দিয়ে নিত্য নতুন ইবাদত বানানো হয়। আশ্চর্যের ব্যপার হচ্ছে, মেইড
ইন চায়নার মতো মানুষের বানানো সেই ইবাদতগুলো মানুষ করে এবং এর দ্বারা জান্নাতে
যাওয়ার স্বপ্ন দেখে! যদিও আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগেই।
আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন,
“আজ
আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম।” [সুরা আল-মায়িদাহঃ ৩]
সুতরাং দ্বীন কামেল,
অর্থাৎ পূর্ণাংগ। আমাদের দ্বীনের মাঝে নতুন কোন ইবাদত বাড়ানো বা
কমানোর কোনো সুযোগ নেই।
যাইহোক বন্ধুরা...
দেশের বড় হুজুর,
আহমদ শফি সাহেব নতুন নতুন কিছু ইবাদত বানিয়ে দিয়েছেন। আপনারা কে কে
এই ইবাদতগুলো করতে রাজি আছেন? (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)
দেওবন্দীদের গুরু,
শফি সাহেবের মাথা থেকে যে ইবাদতগুলো বের হয়েছে তার কিছু নমুনা ও
বইয়ের নাম ও পৃষ্ঠা নাম্বার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১. “চিশতী” তরীকা ধরতে হবে।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া,
পৃষ্ঠা ৬৬।
২. প্রতিদিন নির্জনে আধা ঘন্টা
“মোরাকাবা
মাইয়্যিয়াত” বা
ধ্যান করতে হবে।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া,
পৃষ্ঠা ২৫।
৩. প্রতদিন এক ঘন্টা “যিকরে পাছে আনফাছ” করতে হবে।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া,
পৃষ্ঠা ২২।
৪. “আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু” জিকির করতে হবে,
প্রতিদিন ৫০ হাজার বা ১লক্ষ ২৫ হাজার বার।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া,
পৃষ্ঠা ২৪।
৫. “ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ” - অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া,
আল্লাহ ছাড়া, (নাউযুবিল্লাহ!) এই যিকির করতে
হবে ৪০০ বার।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া,
পৃষ্ঠা ৬৬।
বিঃদ্রঃ ইল্লাল্লাহ অর্থ
আল্লাহ ছাড়া বা আল্লাহ নেই, নাউযুবিল্লাহি মিন
যালিক। পূর্ণ কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
বাদ দিয়ে শুধু ‘ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ’
শব্দ দিয়ে যিকির করা বিদাত এবং কুফুরী।
আল্লাহ আমাদেরকে শিরক বেদাতের
শয়তানী ধোঁকা থেকে হেফাজত রাখুন, আমিন।