সালমান আল-আওদাহ, সফর আল-হাওয়ালি ও অন্যান্য তাকফিরি
নেতাদের ফতোয়াবাজির বিরুদ্ধে শায়খ বিন বাজ ও কিবার আল-ওলামাদের বক্তব্যঃ
বিগত শতাব্দীতে তাকফিরী ফেতনা যখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে
সেই সময়ে শায়খ মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন আলবানি রহিমাহুল্লাহ তাকফিরী ফেতনার বিরুদ্ধে
রুখে দাঁড়ান। এ কারণে সালমান আল-আওদাহ সহ ও আরো কিছু চরমপন্থী বক্তা শায়খ আলবানীকে
মুর্জিয়া, শয়তানের এজেন্ট, ইসরায়েলের দালালসহ বিভিন্ন আজেবাজে গালি দেওয়া শুরু করে।
ইমাম আব্দুল আজীজ বিন বাজ রহিমাহুল্লাহ এই তাকফিরী ফেতনা
ও জেএমবির মতো বোমাবাজির পন্থাকে বেদাত হিসেবে ফতোয়া দেন এবং সেই ব্যপারে উম্মতকে সাবধান
করেন। এছাড়া শায়খ বিন বাজের নেতৃত্বে উলামায়ে কিবারদের একটি দল সম্মিলিতভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরুদ্ধে এই ধরণের চরমপন্থী মতবাদের প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার
জন্য অনুরোধ করেন।
আব্দুল আজীজ ইবনে বাজ এর পক্ষে থেকে প্রিন্স নায়েফ (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর)
কাছেঃ
“তাদের বেশকিছু বক্তব্য
ও বই সবদিক থেকে বিবেচনা করার পর ওলামারা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সালমান
আল-আওদাহ ও সফর আল-হাওয়ালীর ভুলগুলো নিয়ে তাদেরকে ২ জন আলেমের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা
হোক। যদি তারা তাদের ভুলগুলো স্বীকার করে এবং পুনরায় এই ভুলগুলো না করার জন্য রাজি
হয় তাহলে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এতোটুকুই যথেষ্ঠ হবে।
আর যদি তারা ভুল সংশোধন করতে রাজি না হয় তাহলে, তাদেরকে
সমস্ত প্রকার লেকচার, সেমিনার, খুতবাহ দেওয়া, জনসাধারণের মাঝে ওয়াজ মাহফিল বা ক্যাসেট
বিতরণ করতে নিষিদ্ধ করা হবে।
আল্লাহ এই ২ জনকে হেদায়েত করুন ও সঠিক আমলের দিকে পরিচালিত
করুন।
৩/৪/১৪১৪ হিজরী।
কিবার আল-ওলামাদের সচিবালয়ঃ ৯৫১/২।
সালমান আল-আওদাহ ও সফর আল-হাওয়ালী শায়খ আলবানীকে মুর্জিয়া
আকীদার বললে, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমি রহিমাহুল্লাহকে এই ব্যপারে জিজ্ঞাসা
করা হয়। উত্তরে শায়খ ইবনে উসাইমিন বলেন,
“শায়খ আলবানী একজন
আলেম, মুহাদ্দিস ও ফকীহ। আমার দৃষ্টিতে তিনি একজন ফকীহর থেকে বড় মুহাদ্দিস। আমার জানা
মতে শায়খ আলবানীর এমন কোন বক্তব্য নেই যা মুর্জিয়ারা বলে থাকে। যাই হোক, যেই সমস্ত
লোকেরা মানুষকে #কাফের বলে ফতোয়া দিতে চাই তারাই শায়খ আলবানীকে মুর্জিয়া বলে থাকে এবং
বিভিন্ন আজেবাজে নামে গালি দেয়। আমি শায়খ আলবানীর, আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন ইস্তিকামাহ,
সঠিক আকীদাহ ও ইখলাসের স্বাক্ষ্য দিচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “শায়খ আলবানী সালাফী আকীদাহ ও বিশুদ্ধ মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত। কিছু মানুষ আল্লাহর
বান্দাদেরকে এমন বিষয় নিয়ে কাফের ফতোয়া দিতে চায় যেই বিষয়ে আল্লাহ তাদেরকে কাফের বলেন
নি। অতঃপর, যারা এইরকম অন্যায়ভাবে কাফের বলার বিরোধীতা করে তাঁদেরকে তারা মুর্জিয়া
বলে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, জঘন্য অপবাদ এবং মিথ্যা রচনা। এই ধরণের কথা যেই বলে থাকুক
না কেনো, তাদের কথা শুনবেনা।”
মাকাল্লামাত মা মাশায়িখ আদ-দাওয়া আস-সালাফিয়্যা, পর্ব-৪,
২০০১।