চিল্লা দেওয়া
নিয়ে তাবলিগ জামাতের বড় হুজুরদের মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা...
https://www.facebook.com/video.php?v=1105691486130264&saved
তাবলিগ জামাতের
মুরুব্বীরা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে চিল্লা দেওয়ার ফযীলতের কথা বলে সরলমনা
মুসলমানদের ব্রেইন ওয়াশ করে। নতুন নতুন যারা তাবলীগে যোগ দেয় তারা জ্ঞানের অভাবে এই
সমস্ত জাহেল মুরুব্বীদেরকে ‘বড় হুজুর’ মনে করে, আর তাদের লম্বা জোব্বা, লম্বা পাগড়ি পড়ে মিষ্টি মিষ্টি
ভাষণে মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকায় পড়ে নিজেরাও ক্বুরান হাদীস না শিখেই অন্যদেরকে
শেখানোর জন্য চিল্লা দেওয়ার জন্য ছোটে। এ যেন “আন্ধাকো
আন্ধা পাড়াতা হ্যায়।”
নিচের কথা গুলি (ভিডিওতে দেখুন) ইলিয়াসী তাবলীগ জামাতের টঙ্গীর মাঠের ‘বড়
হজুর’,
মাওলানা সা’দ সাহেবের বক্তব্য থেকে নেয়া।
[এই
উম্মতের মধ্যে যারা দুনিয়াতে দ্বীনকে প্রচার করার জন্য, দ্বীনকে চালানোর জন্য সারা
দুনিয়াতে ফিরবে এবং সমুদ্র সফর করবে, পানিতে সফর করবে। সেখানে যদি তার মাউতের সময়
হয়, আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং তার জানকে কবয করেন, ফেরেশ্তা দিয়ে জান কবয করাবেন না]
-
মাওলানা সা’দ!
০৯/০১/২০১৫ তারিখে মাগরিবের
পররের বয়ান, ইজতেমা ২০১৫ ১ম পর্ব।
এরা ইসলাম
প্রচারের নামে কি আশ্চর্যভাবে আল্লাহ্ সম্পর্কে, আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে বানোয়াট
কথা বলে আ’উযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ্ তাআ’লা
সম্পর্কে যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের ব্যপারে আল্লাহ্ বলেছেন,
“ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম আর কে আছে, আল্লাহ সম্পর্কে যে মিথ্যা
কথা রচনা করে?”
সুরা আল-কাহফঃ
১৫
“ধ্বংস হোক তারা যারা আন্দাজে কথা বলে।”
সুরা
আয-যারিয়াত।
এই সমস্ত জাহেল
মুরুব্বী, হুজুর আর পীর সাপেরা ‘ইলিয়াসী তাবলীগের’ চিল্লা দেওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলে। এদের কাছ থেকে কিভাবে দ্বীন
নেয়া যায়? এরা তো দ্বীনের ব্যাপারেও মিথ্যা বলে!
#নিচের_হাদিসটা_মন_দিয়ে_পড়ুন_আর_বর্তমান_প্রেক্ষাপট_কল্পনা_করুন !!
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আল্লাহ তাআ’লা মানুষের অন্তর থেকে ই’লমকে বিলুপ্ত করার
মাধ্যমে তা কেড়ে নিবেন না, বরং তিনি আলেমদেরকে (দুনিয়া থেকে) তুলে নেয়ার মাধ্যমে
ইলমকে তুলে নিবেন। আর যখন কোন আলেম দুনিয়াতে অবশিষ্ট থাকবে না তখন জনগণ অজ্ঞ ও
মূর্খদেরকে ‘নেতা’ হিসাবে গ্রহণ করবে এবং তাদের কাছে (দ্বীনী বিষয়ে) জিজ্ঞেস করা হলে
তারা (সেই বিষয়ে) কোন ইলম না থাকা সত্ত্বেও ফতোয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট
হবে এবং জনগণকেও পথভ্রষ্ট করবে।”
সহীহ বুখারীঃ ১০০; সহীহ
মুসলিমঃ ২৬৭৩, তিরমিযীঃ ২৬৫২, আহমাদঃ ৬৪৭৫; দারিমীঃ ২৩৯। তাহক্বীক্ব শায়খ আলবানীঃ
হাদীসটি সহীহ।