জীবনে সুখী হওয়ার একটা শর্ত হচ্ছে, ‘রিদা মিন
ক্বালিল’ বা অল্পে তুষ্ট থাকা। দুনিয়াতে
অনেকে আপনার চাইতে অনেক বেশি ভোগ-বিলাসে থাকবে, আবার দুনিয়াতে অনেকে আপনার চাইতে
অনেক বেশি দুঃখ-কষ্টে থাকবে। আপনি যদি দুনিয়ার ব্যপারে আপনার চাইতে উপরের কারো
দিকে তাকান, তাহলে আল্লাহ্ আপনাকে যা দিয়েছে সেটা অনেক কম মনে হবে। ফলে আপনি
আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া না করে উল্টা না পাওয়ার জন্য আফসোস করে নাশোকরী করে বসবেন।
আর দ্বীনের ব্যপারে যদি আপনি আপনার থেকে কোন নিচু ব্যক্তির দিকে তাকান তাহলে নিজের
পাপ কাজগুলোকে অনেক কম মনে হয়ে নিজেকে আল্লাহর ‘ওয়ালী’ ভাবতে
শুরু করবেন।
সেইজন্য রাসুল সাঃ বলেছেন, “তোমরা
সবসময় দুনিয়ার ব্যপারে তোমাদের চাইতে নিচু কারো প্রতি লক্ষ্য করবে, আর দ্বীনের
ব্যপারে তোমাদের চাইতে উত্তম কোন ব্যক্তির দিকে লক্ষ্য করবে। এতে করে তোমরা
তোমাদের প্রতি আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতগুলোর কথা স্বরণ করতে পারবে এবং এটা তোমাদেরলে
তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞশীল হতে সাহায্য করবে।
অল্পে তুষ্ট থাকা নিয়ে শেখ সাদীর
একটা কবিতার বাংলা অনুবাদঃ
একদা ছিলনা জুতা চরণ যুগলে
দহিল হৃদয়-অমন সেই ক্ষোভানলে,
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারনে।
দেখি সেথা একজন পদ নাহি তার
অমনি জুতার খেদ ঘুচিল আমার।
পরের দুঃখের কথা করিলে চিন্তন
আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ?