প্রসংগঃ সুদী
ব্যংক বা প্রতিষ্ঠানে চাকরী ও তার বেতন
আমি শায়খ আব্দুল
হামিদ মাদানী ফাইজীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
“একজনের বাবা সুদী ব্যংকে চাকুরী করতো। তিনি মারা যান, এখন তার পরিবার কি সেই চাকুরির পেনশান, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা নিতে পারবে? তার পরিবার এখন
যেই টাকা পাচ্ছে, সেটা কি করবে?
উত্তরে শায়খ
বললেন, “সুদী ব্যংকে চাকুরী ও
তার বেতন হালাল নয়। সেই টাকা তারা নিঃস্বদের দিতে পারে।”
নবী করীম
সাল্লাল্লাহ আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে সুদ খায়, সুদ খাওয়ায়, সুদের সাক্ষী হয় এবং সুদের দলিল লেখে,
তাদের সকলের উপর আল্লাহ তা’আলা লানত করেছেন।”
ইমাম আহমদ এর
মুনসাদ, হাদীস নং – ৩৮০৯।
বর্তমান যুগে
মানুষের মাঝে ব্যপকতা লাভ করেছে এমন কিছু সুদের মাধ্যমঃ
সরকারী অথবা
বেসুরকারী ব্যংক, বীমা,
এনজিও ইত্যাদ প্রতিষ্ঠান যারা ইন্টারেস্ট নামক সুদের সাথে জড়িত,
এইগুলোতে যেকোন চাকরির উপার্জন, সুদী
কোম্পানির শেয়ার, সুদী ব্যংকে টাকা রেখে তার ইন্টারেস্ট,
তাদের দেওয়া স্কলারশিপ, স্পন্সরশিপ বা যেকোন
ধরণের গিফট ইত্যাদি।
- আনসারুস
সুন্নাহ
১২ই রবিউল আওয়াল, ১৪৩৫।