“তাকলিদ” বনাম আলেমদের অনুসরণ করা...
আমরা যখন সমসাময়িক কোন বিষয় (ভাল/মন্দ) নিয়ে উলামাদের মতামত তুলে ধরি, অনেকেই তখন
এটাতে আপত্তি তোলেন। তারা বলেন, উনাদের কথা কি কোন দলিল? বা ওয়াহী?
এটা সত্য, আলেমদের কথা ওয়াহী নয়, তবে আল্লাহ তাআ’লা আলেমদের কথা গ্রহন করার জন্য বলেছেন।
মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
“আর যখন তাদের নিকট কোন শাস্তি বা ভীতিজনক
বিষয় উপস্থিত হয়, তখন তারা সেটা রটনা করতে থাকে এবং যদি তারা এটা রাসুলদের ও তাদের
(উলিল আমর) শাসক/আদেশদাতাদের প্রতি সমর্পণ করত, তবে তাদের মধ্যে তত্তানুসন্ধিৎসুগন
(ইস্তেম্বাতকারি) তা উপলব্ধি করত।” (সুরা আন-নিসাঃ ৮৩)
কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আলোচ্য আয়াতের ব্যাখায় বলেন এখানে “ইলা উলিল আমরি মিনহুম” এর অর্থ হল “তাদের উলামায়ে কিরামের কাছে যদি তারা উত্থাপন
করত, তাহলে যারা তথ্য সম্বন্ধে গবেষণা করে (ইস্তেম্বাতকারি) এবং তাদের গুরুত্ত দেয়
তারা তারা সত্যতা যাচাই করতে পারত।”
তাফসিরে তাবারি, উক্ত আয়াতের তাফসিরে দ্রষ্টব্য।
নেতা দুই ধরনের
১. দুনিয়ার নেতা
২. দ্বীনের নেতা
উক্ত আয়াতে দ্বীনের ইমাম বা নেতাদের অর্থাৎ আলেমদের কথা বলা হয়েছে।
এখানে প্রথমে রাসুলের দিকের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ সেটা হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ।
এর পরেই উলিল আমরদের কথা বলা হয়েছে। তাই নতুন সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সমাধান উলামাদের
থেকে নেয়াই কি নিরাপদ এবং আল্লাহ্র নির্দেশনা অনুযায়ী নয় কি?
সতর্কতাঃ আলেমদের কাছে কোন সমস্যা বা প্রশ্নের উত্তর বা ফতোয়া নেওয়া থেকে তাকলিদ
বা কোন একজন ব্যক্তি/আলেম/ইমামকে অন্ধ অনুকরণ করার প্রমান পাওয়া যায় না। কারন আয়াতে
“উলি” শব্দ এসেছে, যা বহুবচন।যা একজন নয় বরং একাধিককে বুঝায়। তাই “আলেমদের” মত নিলে তা তাকলিদ হবে না, কুরআনের আয়াতের উপরই আমল করা হবে।
এটা উল্লেখ করার দরকার নেই যে, কুরআন সুন্নাহতে স্পষ্ট কিছু থাকলে সেখানে আলেমের কোন
মত গ্রহণযোগ্য নয়।