একটি হজ্জ
ও একটি ওমরার সমান সওয়াব পাওয়ার আমলঃ
একটি হজ্জ
ও একটি ওমরার সমান সওয়াব পেতে চাইলে,
ð ফযরের ফরয সালাত আদায় করার পর জায়নামাযেই বসে
থাকতে হবে, কোন প্রয়োজন ছাড়া উঠা যাবেনা। পুরুষদেরকে সালাত জামাতে পড়ে
মসজিদে বসতে হবে, আর নারীদেরকে ঘরে সালাত আদায় করার পর
জায়নামাযেই বসতে হবে।
ð জায়নামাযে
বসা অবস্থাতে যিকর-আযকার, ক্বুরান তেলাওয়াত, দুয়া,
দুরুদ ইত্যাদি নফল ইবাদত করতে হবে। উল্লেখ্য, এসময়
মসজিদে জোরে জোরে সম্মিলিত যিকির করা যাবেনা, কারণ সেটা
বিদাত। তাবলীগ জামাতের ফাযায়েলে আমল বা বেহেশতি জেওর, মুকসুদুল মুমিনিন, নেয়ামুল
কুরান, বানোয়াট ওযীফা সহ কোন ধরণের শিরকি, বিদাতী কিতাব বা জাল
হাদীসের বয়ান ও বানোয়াট কিচ্ছা পড়া যাবেনা বা শোনা যাবেনা। তবে যেকোন ক্বুরান হাদীসের
বই বা সহীহ হাদীস ভিত্তক বই-পত্র পড়া যাবা বা সেইগুলো শিক্ষা দেওয়া হয় এমন কোন
দারসে বসা যাবে।
ð এইভাবে যতক্ষন
পর্যন্ত না বেলা উঠে সালাতের জন্য নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এইভাবে অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়টা হচ্ছে ফযরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে
বেলা উঠা শুরু হলে সূর্যোদয় শুরু হওয়ার
সময় থেকে প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর্যন্ত হচ্ছে সালাতের জন্য নিষিদ্ধ সময়। মোবাইলে
সফটওয়ার দেখে বা নিউজপেপার থেকে ফযরের ওয়াক্তের শেষ সময়ের সাথে ২০-২৫ মিনিট সময়
যোগ করে সহজেই এই সময়টা বের করা যায়।
ð বেলা উঠে
সালাতের জন্য নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শেষ হলে ২ রাকাত নফল সালাত পড়তে হবে। এই সালাতের
আলাদা কোন নিয়ত না নিয়ম নেই, সাধারণ নফল সালাতের নিয়ত করে স্বাভাবিক
নিয়মেই ২ রাকাত নফল সালাত পড়তে হবে। এই সালাতকে “ইশরাকের
সালাত” বলা হয়।
ð এই নিয়মে ২
রাকাত ইশরাকের সালাত আদায় করলে পূর্ণ একটি হজ্জ ও পূর্ণ একটি উমরার সমান সওয়াব
পাওয়া যায়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
এর প্রতিদান হিসেবে পূর্ণ একটি হজ্জ ও পূর্ণ একটি ওমরার সমান সওয়াব
তার আমলনামায় লেখা হবে।
আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি ফজরের সালাত
জামাআতে আদায় করে, তারপর সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহ তাআ’লার যিকর করে, তারপর
দুই রাকাত সালাত আদায় করে, তার জন্য একটি হজ্জ ও একটি উমরার সমান সওয়াব রয়েছে।” আনাস রাদিয়াল্লাহ আনহু
আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“পূর্ণ, পূর্ণ, পূর্ণ
(হাজ্জ ও উমরার সাওয়াব)।”
[তিরমিযী, হাদীস
নং- ৫৮৬] হাদীসটিকে ইমাম ইবনে বাজ রাহিমাহুল্লাহ ‘হাসান
লিগাইরি’ এবং শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ
‘হাসান সহীহ’ বলেছেন। তাআ’লীকুর রাগীবঃ ১/১৬৪, ১৬৫, মিশকাতঃ ৯৭১।