স্বাস্থ্য ও রূপচর্চাঃ
=>
দ্বীন মেনে চলুন, এর মাঝেই রয়েছে
দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যান। দ্বীন মেনে চললে আপনি নিজেও হয়তোবা জানেন না
কিভাবে যে উপকৃত হবেন। নারী-পুরুষের মাঝে অবাধ যৌন সম্পর্কের কারণে মানুষের মাঝে
এইডস,
সিফিলিস সহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ে, এটা মানুষ জেনেছে মাত্র কয়েক দশক হলো, অথচ আল্লাহ
রাব্বুল আ’লামিন সমস্ত
নবী-রাসুলদের মাধ্যমে পাঠানো আসমানী কিতাবে বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে হারাম
করেছেন এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। অনেকে মনে করে, তার প্রেমিক-প্রেমিকা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য কারণ সে নামাযী(!) বা হিজাবী(!), অথচ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে - ছেলেদের কারণে যেমন পতিতালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি
পাচ্ছে,
এর পাশাপাশি অনেক মেয়ে কয়েকজন বয়ফ্রেন্ডের সাথে শারীরিক
সম্পর্ক করছে। আর যাই হোক, প্রেমের কারণে যে একজন ছেলে-মেয়ের সাথে শারিরীক সম্পর্কে
লিপ্ত হচ্ছে, অন্য আরেকটা প্রেমের কারণে তার অগোচরে
আরেকজনের সাথে প্রেম/পরকীয়া করবেনা, এই গ্যারান্টি
কে দিলো?
=>
সিগারেট, জর্দা, তামাক, গুল – এইসবগুলো হারাম ও নেশার দ্রব্য। তার উপরে এটা অপচয়, আর অপচয়কারী শয়তানের ভাই। অনেক বোকাশ্রেণীর ডাক্তারও এই খবিস নেশায় আক্রান্ত, অথচ তারা সবচেয়ে ভালো জানে - হার্ট, লাংস সহ অনেক
অংগ-প্রত্যংগের রোগের বড় একটা কারণ হচ্ছে ধূমপান। সুতরাং হারাম খাবেন না, শয়তানের ধোঁকা থেকে ফিরে আসুন।
=>
খাবার সময় কাঁচা লবণ খাবেন না, এটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। রাসুল সাঃ পাতে লবণ নিয়ে খেতেন এই
মর্মে কোন সহীহ হাদীস নেই, এটা ‘সুন্নাহ ‘নয় বরং স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর একটি বদঅভ্যাস।
=>
প্রতিদিন টক জাতীয় ফল (যেমন লেবু) খাবেন, যা আপনাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করবে। তবে আচার জাতীয় খাবার আমাদের
প্রিয় হলেও, এই ধরণের খাবার বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আচার
বা প্রসেসড ফুড ও অতিরিক্ত ভাজা বা পোড়ানো খাবারে ফ্রী-রেডিক্যাল এর পরিমান বেশি
থাকে। দিনের পর দিন বেশি পরিমানে ফ্রী রেডিক্যাল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ ক্যান্সারের
ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।
=>
সবজি জাতীয় খাবার অল্প আগুনে, ঢেকে রান্না করবেন। উচ্চ তাপমাত্রা ভিটামিনগুলোকে নষ্ট করে দেয় আর খোলা রান্না
করলে জলীয় বাষ্পের সাথে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো উড়ে চলে যেতে পারে।
=>
ছোট-বড় সকলের সাথে হাসিমুখে কথা বলুন এবং অন্তর থেকে
হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকার ত্যাগ করুন। একেতো এটা জাহান্নামীদের কাজ, তার উপরে এটা আপনার উপর মানসিক স্ট্রেস তৈরী করে। মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা
বলা প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর সুন্নাহ।
=>
বেনামাযী ভাই ও বোনেরা নিয়মিত নামায পড়ুন। ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ অর্থ হচ্ছে
কল্যানের দিকে এসো। নামাযের মাঝে দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক কল্যান রয়েছে। ৫ বার ওযু
ও নিয়মিত গোসল অনেক রোগ-জীবানু ও ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। মনকে রাখে সজীব ও
সতেজ,
যারা নামাযী তারা সকলেই এই কথা জানেন। তাই ইসলামের মাঝে
ফিরে আসুন ও নামায পড়ে সৌভাগ্যের চাবি কাঠিকে বেছে নিন।
=>
বোনেরা পূর্ণাংগ হিজাব-পর্দা করুন। সূর্যের আলো ও ধূলাবালি
হচ্ছে ত্বক ও চুলের প্রধান শত্রু । হিজাব-পর্দা আপনাকে রুক্ষ আবাহাওয়া থেকে আপনার
সৌন্দর্যকে রক্ষা করবে।