“শয়তান এর ৬টি চক্রান্ত ও বাঁচার
১০টি উপায়”
শয়তান ৬ ভাবে আমাদের অনিষ্ট করার চেষ্টা করে; এই চেষ্টায় সে ততক্ষণ পর্যন্ত লেগে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষকে এর কোন
একটি বা একের অধিক ক্ষতিতে ফেলতে পারেঃ
১. শিরক এবং অবিশ্বাস বা কুফরের মধ্যে ফেলা;
২. তারপর বিদাআতে জড়িয়ে ফেলা;
৩. অতঃপর বড় গুনাহে প্রলুব্ধ করা;
৪. তারপর ছোট গুনাহে লিপ্ত করানো;
৫. এরপর নেক আমলের পরিবর্তে ‘মুবাহ’ আমলে ব্যস্ত রাখা; (যে কাজে গুনাহ বা সওয়াব কোনটিই হয় না এমন কাজকে মুবাহ বলে, যেমন খাওয়া, ঘুম ইত্যাদি);
উপরের কোন উপায়েই যদি অনিষ্ট না করতে পারে তাহলে
৬. অবশেষে অধিক সওয়াবের আমলের পরিবর্তে
তুলামূলক কম সওয়াবের আমলে ব্যস্ত রাখা।
শয়তান থেকে আত্মরক্ষার ১০টি উপায়ঃ
১. আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয়
চাওয়া;
২. সুরা ফালাক ও সুরা নাস তেলাওয়াত করা;
৩. আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা;
৪. সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা;
৫. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা;
৬. সুরা গাফির এর প্রথম তিন আয়াত তেলাওয়াত
করা;
৭. “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু, লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া
হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইইন কাদীর” একশত বার পড়া যার অর্থ – “আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর
কোন শরীক নেই, রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
৮. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা;
৯. উত্তমরূপে ওজু করা এবং সালাত আদায় করা;
১০. অনর্থক এদিক সেদিক খেয়াল করা, অসার কথা বলা, অতিরিক্ত খাওয়া ও অহেতুক লোকজনের
সাথে মেলামেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
উৎসঃ ইমাম ইবনুল কায়্যিম আল-জাওজিয়া (রহঃ) কর্তৃক লিখিত ;বাদা-ই আল ফাওয়া-ইদ
তারীক আল ওয়াসুল ইলা আল ইলম আল মাউল’ (পৃষ্ঠা ১২৯) থেকে শায়খ আব্দুর রাহমান ইবনে নাসির আস সাদী (রহঃ) এর সংকলনকৃত।