“নূর” শব্দটি একবচন, বহুবচনে আনওয়ার। “জুলুম” শব্দটি একবচন, বহুবচনে জুলমাত।
কুরআনে আল্লাহ যত জায়গায় “নূর” এবং “জুলমাত” পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন সেখানে “নূর” একবচন এবং “জুলমাত” বহুবচন উল্লেখ করেছেন।
এ থেকে একটা জিনিস বুঝা যায়, হেদায়াতের পথ/সঠিক পথ হল একটা, আর বাতিলের পথ অনেকগুলো।
উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষক একটা অংক করতে দিলেন ১০+৫+৫= কত?
এখানে সঠিক উত্তর একটাই হবে তা হল ২০। কিন্তু ভুল উত্তর ১২, ১৫, ১৮, ১৯ ইত্যাদি
অনেক হতে পারে।
তাই আসুন, সকল পথ বাদ দিয়ে সিরাতাল মুস্তাকিমের একমাত্র সেই পথের দিকে, যা চলে
গেছে জান্নাতের দিকে। আর তা হল রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবিরা যেই পথের উপর ছিলেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
“আমার উম্মত তাই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের
লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি তাদের মাঝে কেউ তার মায়ের সাথে
প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে এই কাজটি করবে।
আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২টি দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩টি দলে বিভক্ত। এই
সবগুলো দলই হবে জাহান্নামী, একটি মাত্র দল ছাড়া।”
সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন, “যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ
করবে।”
সুনানে তিরমিযীঃ ২৬৪১, আল মু’জামুল কাবীরঃ ৭৬৫৯, কানযুল উম্মালঃ ১০৬০।