প্রশ্নঃ ইসলামী সংস্কৃতিতে ‘গান’ কখন জায়েজ?
উত্তরঃ ঈদের দিনে এবং বিয়ের খুশি উপলক্ষ্যে নাবালিকা ছোট মেয়েরা গান গাইতে
পারে এবং শুধুমাত্র #নারীরা সেইগুলো শুনতে পারে।
গান পুরুষদের কোন বিষয় না, ইসলামে এটা মেয়েদের জন্য খাস করা হয়েছে।
প্রাচীনকালের আলেমদের মাঝে অনেক ফকীহ মত দিয়েছেন, যেই সমস্ত পুরুষেরা গান গাইতে
অভ্যস্ত আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য নেওয়া যাবেনা। উল্লেখ্য, ফাসেক বা বড় রকমের
পাপীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। পথভ্রষ্ট বেদাতী সূফীরা মুসলমানদের মাঝে গজল,
নাশীদ, সামা, কাওয়ালী ইত্যাদি নাম দিয়ে বেদাতী/হারাম গান-বাজানাকে ‘ইসলামিক’ লেবাস লাগিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করেছে।
ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, পীস টিভি যেই টিভিতেও এইগুলো দেখানো হোকনা কেনো – যেটা হারাম সেটা হারাম। দয়া করে
ফাসেক ও অজ্ঞ লোকদের কাজ-কারবারকে ইসলাম বলে ধোঁকা খাবেন না।
এমন কবিতা যা মানুষকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করে, সেইগুলো বিশেষ উপলক্ষে পুরুষদের
জন্যও কখনো আবৃত্তি করে শোনানো জায়েজ হতে পারে। গান আর কবিতা আলাদা জিনিস। গানে
সুন্দর সুর দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করা হয়, কিন্তু কবিতাতে বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ জ্ঞানের
কথা বলা হয়। বর্তমানে মোবাইলে, কম্পিউটারে গজল, ইসলামী সংগীত, নাশীদ নামে হারাম ও
বেদাতের ফেতনা চলছে যা মানুষকে ক্বুরান থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার শয়তানী ষড়যন্ত্র।
সর্বশেষ, আল্লামাহ সালেহ আল-ফাউজান হাফিজাহুল্লাহর বক্তব্য দিয়ে এই বিষয়ের উপরে
আমার বক্তব্য শেষ করবো, যার ইচ্ছা ওলামাদের উপদেশ নিয়ে নিজেকে হেফাজত করবেন, যার
ইচ্ছা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন –
“যেহেতু এইগুলোর (নাশিদ/গজল/ইসলামিক
সংগীতের) কোনো ভিত্তি নেই সুতরাং এটা একটা ফিতনাহ। তাদের উচিত হচ্ছে কুরআনুল
কারীমের তেলাওয়াত শোনা। অনুরূপভাবে ইসলামি শিক্ষামূলক ওয়াজ, লেকচার শোনা। নাশিদের জন্য সময় অপচয় করা ঠিকনা। এতে কোনো কল্যান নেই, বিনোদন ছাড়া।
প্রশ্নঃ ‘ইকামত’ কি একটু বলা যায়?
মাইকে আযান দেওয়ার সাধারণত ১৫ অথবা ৩০ মিনিট পর (একেক মসজিদে একেক রকম),
মসজিদে আরেকটা আযান দেওয়া হয় মাইক ছাড়া, জামাত শুরু করার জন্য। সেই আযানকে ‘ইকামত’ বলা হয়। আযান ও ইকামতের মাঝখানে আপনারা বেশী বেশী দুয়া/মুনাজাত বা প্রার্থনা
করবেন, কারণ রাসুল সাঃ বলেছেন, “আযান ও ইকামতের মাঝখানের দুয়া আল্লাহ (কবুল না করে) ফিরিয়ে দেন না।”
বোনেরা পরিবারের পুরুষ সদস্যের মাধ্যমে নিকটস্থ মসজিদে আযান দেওয়ার কতক্ষণ পরে
ইকামত দেওয়া হয় সেটা জেনে নেবেন। আর একান্তই জানা সম্ভব না হলে, আযান দেওয়ার পরে
অন্তত ১৫ মিনিট নিশ্চিৎ ধরে ঐ সময়ের মাঝে দুয়া করতে পারবেন।
সর্বশেষ, কোন প্রশ্ন নয় তবে একটা বিদাতের ব্যপারে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনেক
মসজিদের বাথরুমের সামনে পুরুষেরা পবিত্রতা অর্জনের জন্য পেশাব করার পর লজ্জাস্থান
ধরে হাটাহাটি করে যা কুরুচিপূর্ণ ও নির্লজ্জলতার শামিল। গ্রামের মানুষ তাও কিছুটা
আড়ালে করে তবুও সেটা সভ্যতা বিরোধী কাজ, কিন্তু শহরের মসজিদে ব্যপারটার আরো বেশি
জঘন্য। অনেক মসজিদের ইমামেরা দাবী করে তারা মাওলানা, মুফতি মুহাদ্দেস অথচ সভ্যতা
বিরোধী এই বিদাতী কাজের ব্যপারে তারা তাদের মসজিদের মুসল্লিদের কোনদিন সতর্ক
করেনা। এরা আসলে ভারতের বিভ্রান্ত সূফী ‘দেওবন্দ’ অথবা ‘বেরেলুবী’ মাদ্রাসার অন্ধ অনুসারী। আপনারা এইরকম বিভ্রান্ত হুজুর মাওলানাদের থেকে সতর্ক
থাকবেন যারা ‘ইসলাম’ নাম দিয়ে মানুষকে৩ শীরক বিদাত শীক্ষা দেয়। পেশাব করার পর পবিত্ররা কিভাবে
অর্জন করতে হবে এনিয়ে আমাদের এই পোস্ট দেখুন –