“শফি হুজুরের নতুন কিছু বিদাতী আমল”
আল্লাহর দুনিয়াতে বাংলাদেশ নামে একটা দেশ আছে, এই দেশে অসম্ভব অনেক কিছুই পাওয়া
যায় – চাই সেটা আপনার ভালো লাগুক, আর না লাগুক।
এমনই আজিব একটা ব্যাপার হলো, এইখানে ‘ইসলাম’ নাম দিয়ে নিত্য
নতুন ইবাদত বানানো হয়। আশ্চর্যের ব্যপার হচ্ছে, মেইড ইন চায়নার মতো মানুষের বানানো
সেই ইবাদতগুলো মানুষ করে এবং এর দ্বারা জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে! যদিও আজ থেকে
প্রায় ১৫০০ বছর আগেই আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন
“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে
পূর্নাঙ্গ করে দিলাম।” [সুরা আল-মায়িদাহঃ ৩]
সুতরাং দ্বীন কামেল, অর্থাৎ পূর্ণাংগ। আমাদের দ্বীনের মাঝে নতুন কোন ইবাদত বাড়ানো
বা কমানোর কোনো সুযোগ নেই।
যাইহোক বন্ধুরা...
দেশের বড় হুজুর, আহমদ শফি সাহেব নতুন নতুন কিছু ইবাদত বানিয়ে দিয়েছেন। আপনারা কে
কে এই ইবাদতগুলো করতে রাজি আছেন? (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)
দেওবন্দীদের গুরু, শফি সাহেবের মাথা থেকে যে ইবাদতগুলো বের হয়েছে তার কিছু নমুনা
ও বইয়ের নাম ও পৃষ্ঠা নাম্বার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১. “চিশতী” তরীকা ধরতে হবে।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া, পৃষ্ঠা ৬৬।
২. প্রতিদিন নির্জনে আধা ঘন্টা “মোরাকাবা মাইয়্যিয়াত” বা ধ্যান করতে হবে।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া, পৃষ্ঠা ২৫।
৩. প্রতদিন এক ঘন্টা “যিকরে পাছে আনফাছ” করতে হবে।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া, পৃষ্ঠা ২২।
৪. “আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু” জিকির করতে হবে প্রতিদিন ৫০ হাজার বা ১লক্ষ
২৫ হাজার বার।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া, পৃষ্ঠা ২৪।
৫. “ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ” - অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া, আল্লাহ ছাড়া, (নাউযুবিল্লাহ!)
এই যিকির করতে হবে ৪০০ বার।
ফুয়ুজাতে আহমাদিয়া, পৃষ্ঠা ৬৬।
বিঃদ্রঃ ইল্লাল্লাহ অর্থ আল্লাহ ছাড়া বা আল্লাহ নেই, নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক।
পূর্ণ কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বাদ দিয়ে শুধু ‘ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ’ শব্দ দিয়ে যিকির করা বিদাত এবং কুফুরী।
আল্লাহ আমাদের শিরক বেদাতের শয়তানী ধোঁকা থেকে হেফাজত রাখুন, আমিন।