রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪

প্রশ্নঃ বেনামাযী কে ‘কাফের’ বলতে দোষ আছে কি?

প্রশ্নঃ বেনামাযী কে কাফের বলতে দোষ আছে কি?
উত্তরঃ মহানবী (সঃ) বলেন, মানুষ এবং কুফর ও শিরকের মাঝে (অন্তরাল) হচ্ছে নামায ত্যাগ করা।
মুসলিম ৮২ নং।

তিনি (সাঃ) আরো বলেছেন, আমাদের মাঝে ও তাদের মাঝে চুক্তিই হল নামায। সুতরাং যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ করে, সে কাফের।
তিরমিজি ২৬২১ নং, ইবনে মাজাহ ১০৭৯ নং, শায়খ আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।

আমিরুল মুমিনীন উমার (রঃ) বলেন, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার জন্য ইসলামে কোন অংশ নেই।
বাইহাকি ৬৭৩৪ নং, ইবনে আবি শায়বাহ ৩৭০৭৪ নং।

ইবনে মাসউদ (রঃ) বলেন, যার নামায নেই, তার দ্বীন নেই।
সহীহ তারগিব ৫৭৪ নং।

আবু দারদা (রঃ) বলেন, যার নামায নেই, তার ইমান নেই।
সহীহাহ ৫৭৫ নং।

আব্দুল্লাহ বিন শাকিক বলেন, নবী (সঃ) এর সাহাবা বৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরি মনে করতেন না।
তিরমিজি।

কিন্তু আপনি তাকে কাফের বলবেন না। অথবা সম্বোধনের সময় এ কাফের! বলবেন না। যেহেতু যে নামায পড়ে না, সে কাফের। কিন্তু আপনি যেই বেনামাজিকে কাফের বলছেন, সে প্রকৃতপক্ষে কাফের কি না, তা আপনি জানেন না। কারন কাফের বলার আগে অনেক কিছু দেখবার ও ভাববার আছে। সুতরাং আপনি তাকে সরাসরি তুমি কাফের না বলে বলবেন, যে নামায পড়ে না, সে কাফের। অতঃপর তাকে নসিহত করবেন। তার সামনে দলীল পেশ করবেন। তার সন্দেহ নিরসন করবেন। আর সে সব না পারলে আপনি কাফের বলার কে?
ফতোয়া শায়খ বিন বাজ (রহঃ)


গ্রন্থঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর - আবদুল হামীদ ফাইযী।