মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৪

শিয়াদের আকীদাহ কেমন?

শিয়াদের আকীদাহ কেমন?
হাদীস শাস্ত্রের আমিরুল মুমিনুন, ইমাম বুখারী রহঃ বলেন,
(রাফেজীদের আকীদা এতো জঘন্য যে), আমার দৃষ্টিতে একজন রাফেজী শিয়ার পেছনে নামায পড়া আর একজন ইয়াহুদীর পেছনে নামায পড়ার মাঝে কোন পার্থক্য দেখতে পাচ্ছিনা।

শিয়াদের অনেক ফেরকা যেমন আলাভী, নুসাইরি (সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার ও তার অনুসারী), ভারত পাকিস্থানের বোহরা, আগা খানি, ইমামিয়াসহ অনেকেই এরা পরিষ্কার কাফের।

ইয়েমেনের জায়েদী শিয়াদের আকীদা অন্য শিয়া ফেরকা থেকে ভালো, যদিও এদের মাঝে অনেক ভ্রান্ত বিশ্বাস আছে।

বর্তমানে সবচাইতে বেশি শিয়া হচ্ছে ইরানের রাফেজীরা। রাফেজি শিয়াদের কিছু শিরকি-কুফুরী আকীদাঃ
১. তাদের ১২ ইমাম আল্লাহর সমান ক্ষমতাবান নাউযুবিল্লাহ। বর্তমানে কথিত ইসলামিক(!) রাষ্ট্র ইরানের ইমাম(!) খোমাইনি বলেছে মহবিশ্বের প্রতিটি কণার উপরেই তাঁদের ১২ ইমামের ক্ষমতা রয়েছে।
এখন আপনারাই বলুন, এইরকম জঘন্য আকীদার লোক যদি মুশরকে না হয় তাহলে হিন্দুরা মুশরেক হবে কেনো?

২. ক্বুরান সম্পূর্ণ ও দোষত্রুটি মুক্ত নয়, কুরানকে যে কামেল বা পূর্ণাংগ মনে করবে সে কাফের, নাউযুবিল্লাহ।
রেফারেন্স দেখুন শিয়াদের সবচাইতে পবিত্র গ্রন্থ উসুলে কাফীর ঈমান অধ্যায়।

৩. মুনাফেকরা মা আয়িশাহ রাঃ এর বিরুদ্ধে যেই মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলো, তিনি নাকি সত্যিই যিনা করেছিলেন নাউযুবিল্লাহি মিন যালেক!!
মা আয়িশাহ রাঃ নির্দোষ ও সচ্চরিত্রের ছিলেন, এই সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন সুরা নূরে। ক্বুরানের স্পষ্ট আয়াতের যে বিরোধীতা করে সে সরাসরি কাফের হয়ে যাবে।
৪. রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর পরে মাত্র ৩ জন সাহাবী ছাড়া বাকি সসমস্ত সাহাবারা কাফের হয়ে গিয়েছিলেন। নাউযুবিল্লাহ!
রেফারেন্স দেখুন শিয়াদের সবচাইতে পবিত্র গ্রন্থ উসুলে কাফীর ঈমান অধ্যায়।

৫. কবর মাযার পূজা, অলি আওলিয়াদের কাছে দুয়া করা, তাদের কাছে বিপদে সাহায্য চাওয়া জায়েজ নাউযুবিল্লাহ। মূলত ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্থানে কবর মাযার পূজার যেই ধর্ম সেটা পারস্য বা ইরানের শিয়াদের কাছ থেকে এসেছে। মুঘল বাদশাহ সহ অন্যান্য বিদেশী বাদশাহরা ভারতীয়া উপমহাদেশে ইসলাম নাম দিয়ে কবর মাযার পূজা আর হিন্দু ধর্মের খিচুড়ী মার্কা ধর্ম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।  

. কারবালার মর্যাদা কাবার চাইতে বেশি, কারবালা তাওয়াফ করলে ২টা হজ্জের সমআন নেকী, নাউযুবিল্লাহ।

বর্তমানে শিয়াদের যারা আয়াতুল্লাহ, ইমাম, আলেম যেমন খোমেনি, সিস্তানি, তিজানি এরা পরিষ্কার কাফের কারণ তারা জেনে বুঝে ক্বুরান এর কথাকে অস্বীকার করেছে। এরা মাজুসী বা অগ্নিপূজারীদের মতোই অপবিত্র ও নিকৃষ্ট। কিন্তু যারা সাধারণ অনুসারী তাদেরকে কাফের ফতোয়া দেওয়া যাবেনা, কারণ তারা অজ্ঞ। তাদেরকে আগে দাওয়াত দিতে হবে, শিরক কুফর বর্জন করতে উপদেশ দেওয়া হবে।


আপনারা শীয়াদের ভ্রান্ত আকীদাহ জানার জন্য ইংরেজীতে লেবানীজ একজন আলেম, শায়খ আব্দুর রহমান দিমাশকিয়ার লেকচার আছে অনেক, সেইগুলো শুনবেন। আর উর্দুতে আল্লামাহ এহসান ইলাহী যহির (রহঃ) ও শায়খ তৌউসিফ-উর-রহমানের অনেক লেকচার আছে এইগুলো শুনবেন।