সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

প্রশ্নঃ খিলাফাহ কি? আমিরুল মুমিনিন কে?

প্রশ্নঃ খিলাফাহ কি? আমিরুল মুমিনিন কে?
উত্তরঃ মুসলমানদের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী নেতা হচ্ছেন #খলিফা, যার অর্থ হচ্ছে প্রতিনিধি। খলিফার দায়িত্ব হচ্ছে রাসুল সাঃ এর অবর্তমানে তার প্রতিনিধি হয়ে ক্বুরান ও সুন্নাহ অনুযায়ীহ রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমানদের পরিচালনা করা ও তাদের নেতৃত্ব দেওয়া। মুসলমানদের একজন বৈধ খলিফার একটি উপাধি হচ্ছে #আমিরুল_মুমিনিন, যার অর্থ হচ্ছে বিশ্বাসীদের আমির বা নেতা। উল্লেখ্য, ১৯২৪ সালে তুরষ্কের ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্বাসঘাতক নেতা কামাল আতাতুর্ক ক্ষমতা দখল করে মুসলমানদের সর্বশেষ তুর্কি খিলাফত ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানরা খন্ড-বিখন্ড জাতি হিসেবে নিজেরা নিজেরাই যুদ্ধ করছে অথবা কাফের-মুশরেকদের আক্রমনের শিকার হচ্ছে। তবে, কেন্দ্রীয়ভাবে খলিফা না থাকলেও মুসলমানদের নিজ নিজ এলাকার মুসলিম শাসক বা রাজার অনুগত থাকতে হবে, এটাই রাসুল সাঃ এর নির্দেশ।

প্রশ্নঃ সৌদি বাদশাহকে আমিরুল মুমিনিন বলা যাবে?
উত্তরঃ বর্তমানে সৌদি আরব শাসন করছে আহলে সৌদ বা সাউদ পরিবারের এর সদস্যরা। এটা কোন খিলাফাহ নয়, রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এক্টি মুসলিম দেশের শাসন। সৌদি বাদশাহরা স্ব্যং আমিরুল মুমিনিন উপাধি দাবী করেন নি, ওলামা এবং মুসলিম সমাজ তাকে আমিরুল মুমিনিন বলেন নি। কেউ যদি অতি ভক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে সৌদি বাদশাহকে আমিরুল মুমিনিন বলে, তাহলে সে বাড়াবাড়ি করলো। আর অতিরক্ত কোনকিছুর ফল কখনোই ভালোনা।

প্রশ্নঃ ISIS এর নেতা আবু বকর আল-বাগদাদী নিজেকে খলিফা দাবী করেছে। সে কি কোন খলিফাহ?
উত্তরঃ ISIS এর মিথ্যা খিলাফতের দাবীদার আবু বকর আল-বাগদাদী একজন রক্তপিপাসু খুনি। খলিফাহ ঘোষণা করার কোন জিনিস না। মুসলমানদের ওলামা ও নেতারা যাকে খলিফা বলে স্বীকৃতি দেবে ও মেনে নেবে তিনিই হচ্ছেন প্রকৃত খলিফাহ। খারেজীদের কিছু লোক নিয়ে দল গঠন করে মুস্লমানদের রক্ত ঝড়িয়ে আর ২-৪ জন অল্প বয়ষ্ক মূর্খ ছেলে-পিলের সমর্থন নিয়ে নিজেকে খলিফাহ ঘোষণা করলেই খলিফাহ হওয়া যায়না। ওলামারা ISIS এর ব্যপারে ঐক্যমত হয়েছন যে, এরা হচ্ছে বর্তমান যুগের খারেজী। এরা দাবী করে মুসলমানদের উদ্ধার করার জন্য তারা জিহাদ করছে, কিন্তু জেএমবির মতো এদের ফাসাদপূর্ণ কাজের দ্বারা মুসলমানদের শত্রুরা ছাড়া অন্য কেউ উপকৃত হয়না। ছদ্মনামের আড়ালে আত্ম পরিচয় গোপনকারী আবু বকর আল-বাগদাদীকে যে আমিরুল মুমিনিন বলে দাবী করে সে হয় জাহেল (মূর্খ), নয়তো দ্বোয়াল্লিন (পথভ্রষ্ট)।