প্রশ্ন ও উত্তরে ইসলামঃ
১. ছেলেরা হাতে চুরি, ফিতা, ব্রেসলেট, কানে দুল পড়তে পারবে?
উত্তরঃ না, এটা হারাম ও কবীরাহ গুনাহ কারণ এটা নারী জাতির অনুকরণ করার অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ ঐ সমস্ত পুরুষদের উপর লানত করেন যারা নারীদের অনুকরণ করে, আর ঐ সমস্ত নারীদের
প্রতি লানত করেন যারা পুরুষদের অনুকরণ করে। সুতরাং নারীদের জন্য ছেলেদের মত চুল ছোট
কাটা, শার্ট, প্যান্ট টি-শার্ট পড়া এইগুলোও লানত পাওয়ার মতো কাজ। আধুনিক যুগের এই সমস্ত
নারী-পুরুষরা অভিশপ্ত, পরিবারে এমন কেউ থাকলে তাদেরকে প্রশ্রয় দেবেন না। আর এমন কাউকে
বিয়ে করে কেউ নিজের জীবন নষ্ট করবেন না।
২. বিনোদন, দেশ-ভ্রমনের জন্য ইন্ডিয়া, ব্যংকক ইত্যাদি অমুসলিম দেশে যাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ইমাম মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসায়মিন রহঃ এর ফতোয়া হচ্ছে, প্রয়োজন ছাড়া কাফেরদের
দেশে আনন্দ-ফূর্তি, বিয়ে-শাদীর কেনাকাটা, এমন ফালতু কাজের জন্য যাওয়া জায়েজ নয়। এটা
অপচয়, এছাড়া কাফেরদের শিরক, বেদাত, অবাধ যৌনতা ও অশ্লীলতার দ্বারা তারা ফেতনায় পড়বে।
উল্লেখ্য শায়খের মতে, প্রয়োজনীয় খাতের মধ্যে একটা হচ্ছে চিকিতসা।
বিঃদ্রঃ শায়খ রাহিমাহুল্লাহর কথা ১০০% সত্যি। অনেক নামধারী অজ্ঞ মুসলমানেরা কাফেরদের
দেশে মাটিতে পা রাখা মাত্রই তাদের বউ, ছেলে-মেয়েরা মুশরেকিনদের মতোই উলংগ ড্রেস পড়ার
প্রতিযোগিতা শুরু করে। দুশ্চরিত্রে বোকা লোকগুলো তাদের স্ত্রীদেরকে যৌন উত্তেজক ড্রেস
পড়িয়ে ইন্টারনেটে বন্ধুদেরকে দেখিয়ে বেড়ায় এবং এনিয়ে গর্ব্ববোধ করে। মুসলমানদের মাঝে
এমন ভেজাল মুসলমান ঢুকে গেছে বলেই তাদের উপর এতো বিপদ-আপদ চেপে বসেছে, আল্লাহু মুস্তায়ান।
৩. পর্দার উপরে ভালো একটি বইয়ের নাম বলুন।
উত্তরঃ অনেক ভালো বই আছে বড় আলেমদের লেখা, তবে ইমাম আব্দুল আজিজ বিন বাজ রহঃ এর
নারীদের পর্দার উপরে লেখা বইটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। হিজাব-পর্দা কি, নারীদের
কিভাবে হিজাব পর্দা রক্ষা করতে হয়, শায়খ রাহিমাহুল্লাহ সুন্দর আলোচনা করেছেন। আমি নারী
ও পুরুষ সকলকেই অনুরোধ করবো এই বইড়া অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। আমার ক্ষ্মতা থাকলে স্কুল-কলেজে
এই বইটাকে কমপালসরি সাবজেক্ট করে দিতাম, যাতে করে নাম্বার পাওয়ার জন্য হলেও ছাত্র ও
ছাত্রী ভাইয়েরা পর্দার গুরুত্ব শিখতে পারে।
৪. মাযার জিয়ারত করা যাবে?
উত্তরঃ ইসলাম মাযার বানানোই হারাম করেছে। কবর পাকা-করা, চুনকাম করা, কবরের উপরে
বিল্ডিং, গম্বুজ বানানো, লাইটিং করা এই সবগুলো কাজের উপর আল্লাহর রাসুল সাঃ অভিশাপ
দিয়েছেন কারণ এই কাজগুলো করতো আল্লাহর দুশমন ইয়াহুদী জাতির লোকেরা, তাদের নবী-রাসুলদের
কবরের উপরে। মাযার বানানো হারাম, তার উপরে বর্তমানে এই মাযারগুলোকে পূজা করা হচ্ছে।
কবর জিয়ারত নাম দিয়ে এরা কবরে চাদর চড়ায়, মাযার বানায়, মাযারে সিজদাহ করে, কবরে মৃত
অলি আওলালিয়াদের কাছে দুয়া করে, সন্তান, টাকা-পয়সা বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য দুয়া
করে। এইসবগুলো কাজ বড় শিরক যার কারণে একজন মুসলমান মুশরেক হয়ে যেতে পারে। এছাড়া কবরে
শায়িত পীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওরশ নামের কবর মাযার পূজার মেলা বসানো হচ্ছে যেখানে
অনেক পাপাচার ও অপকর্ম সংঘটিত হচভহে। এইরকম শিরক-বেদাত ও পাপের আড্ডাখানা দেখতে যাওয়া
জায়েজ নয়। কবর জিয়ারত করতে চাইলে স্থানীয় গোরস্থানে যাবেন, মাযার নামক কবর পূজারীদের
মূর্তির কাছে যাবেন না।