কবীরাহ গুনাহ কোনগুলি?
অতীত জীবনের ভুল-ভ্রান্তির কাফফারার জন্য শ্রেষ্ঠ একটি নেকীর আমলঃ
তাইসালা ইবন মাইয়াস বলেন, আমি যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত ছিলাম। সেখানে এমন কিছু কার্যকলাপ আমার দ্বারা সংঘটিত হয় সেগুলিকে আমি কবীরা গোনাহ বলিয়া মনে করি। হযরত ইবন উমর (রা) এর খেদমতে আমি সে প্রশ্নটি উত্থাপন করিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহা কি কি? আমি বলিলাম, অমুক অমুক ব্যাপার। তিনি বলিলেন, এ গুলিতো কবীরা গোনাহ নয়, কবীরা গুনাহ হইতেছে নয়টিঃ
১. আল্লাহর সাথে শিরক করা,
২. নরহত্যা,
৩. জিহাদ হইতে পলায়ন,
৪. সতীসাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে অসতীত্বের অপবাদ রটানো,
৫. সুদ খাওয়া,
৬. ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা,
৭. মসজিদে ধর্মদ্রোহিতা (ইহলাদ),
৮. ধর্ম নিয়া উপহাস করা, এবং
৯. সন্তানের অবাধ্যতার দ্বারা মাতাপিতাকে কাঁদানো।
ইনব উমর (রা) জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি জাহান্নাম হইতে দূরে থাকিতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করিতে চাও? সে ব্যক্তি বলিলঃ আল্লাহর কসম, আমি তাহাই চাই। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার পিতামাতা কি জীবিত আছেন? আমি বললাম আমার মা জীবিত আছেন। তিনি বলিলেন, কসম আল্লাহর, তুমি যদি তোমার মায়ের সহিত নম্রভাষায় কথা বল এবং তাঁহাকে ভরণপোষণ কর তবে, তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারিবে। অবশ্য, যতক্ষণ কবীরা গোনাহসমূহ হইতে বিরত থাক।
উৎসঃ ইমাম বুখারী রচিত হাদীসের কিতাব, আল-আদাবুল মুফরাদ (অনন্য শিষ্টাচার) থেকে নেওয়া। মাতাপিতা পরিচ্ছেদ, অধ্যায় ১, হাদিস নং- ৮। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
নোটঃ এখানে ৯টি কবীরাহ গুনাহর কথা উল্লেখ করা হলেও, ক্বুরান ও হাদীস অনুযায়ী আরো অনেক গুনাহ কবীরাহ বা বড় গুনাহর নাম উল্লেখিত হয়েছে যার জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে। তবে উল্লেখিত ৯টি সবচাইতে মারাত্মক গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আরেকটি ব্যপার লক্ষ্যণীয়, মাতা-পিতার অনুগত থাকা, তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা, তাদের দেখাশোনা করে...এইকাজগুলো এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, এর সওয়াব অতীতের বড় গুনাহগুলোর জন্য তোওবা করার পাশাপাশি তার কাফফারা হতে পারে।
আল্লাহ আমাদেরকে এই হাদীস অনুযায়ী আমল করার তোওফিক দান করুন, আমিন।
অতীত জীবনের ভুল-ভ্রান্তির কাফফারার জন্য শ্রেষ্ঠ একটি নেকীর আমলঃ
তাইসালা ইবন মাইয়াস বলেন, আমি যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত ছিলাম। সেখানে এমন কিছু কার্যকলাপ আমার দ্বারা সংঘটিত হয় সেগুলিকে আমি কবীরা গোনাহ বলিয়া মনে করি। হযরত ইবন উমর (রা) এর খেদমতে আমি সে প্রশ্নটি উত্থাপন করিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহা কি কি? আমি বলিলাম, অমুক অমুক ব্যাপার। তিনি বলিলেন, এ গুলিতো কবীরা গোনাহ নয়, কবীরা গুনাহ হইতেছে নয়টিঃ
১. আল্লাহর সাথে শিরক করা,
২. নরহত্যা,
৩. জিহাদ হইতে পলায়ন,
৪. সতীসাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে অসতীত্বের অপবাদ রটানো,
৫. সুদ খাওয়া,
৬. ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা,
৭. মসজিদে ধর্মদ্রোহিতা (ইহলাদ),
৮. ধর্ম নিয়া উপহাস করা, এবং
৯. সন্তানের অবাধ্যতার দ্বারা মাতাপিতাকে কাঁদানো।
ইনব উমর (রা) জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি জাহান্নাম হইতে দূরে থাকিতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করিতে চাও? সে ব্যক্তি বলিলঃ আল্লাহর কসম, আমি তাহাই চাই। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার পিতামাতা কি জীবিত আছেন? আমি বললাম আমার মা জীবিত আছেন। তিনি বলিলেন, কসম আল্লাহর, তুমি যদি তোমার মায়ের সহিত নম্রভাষায় কথা বল এবং তাঁহাকে ভরণপোষণ কর তবে, তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারিবে। অবশ্য, যতক্ষণ কবীরা গোনাহসমূহ হইতে বিরত থাক।
উৎসঃ ইমাম বুখারী রচিত হাদীসের কিতাব, আল-আদাবুল মুফরাদ (অনন্য শিষ্টাচার) থেকে নেওয়া। মাতাপিতা পরিচ্ছেদ, অধ্যায় ১, হাদিস নং- ৮। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
নোটঃ এখানে ৯টি কবীরাহ গুনাহর কথা উল্লেখ করা হলেও, ক্বুরান ও হাদীস অনুযায়ী আরো অনেক গুনাহ কবীরাহ বা বড় গুনাহর নাম উল্লেখিত হয়েছে যার জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে। তবে উল্লেখিত ৯টি সবচাইতে মারাত্মক গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আরেকটি ব্যপার লক্ষ্যণীয়, মাতা-পিতার অনুগত থাকা, তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা, তাদের দেখাশোনা করে...এইকাজগুলো এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, এর সওয়াব অতীতের বড় গুনাহগুলোর জন্য তোওবা করার পাশাপাশি তার কাফফারা হতে পারে।
আল্লাহ আমাদেরকে এই হাদীস অনুযায়ী আমল করার তোওফিক দান করুন, আমিন।