বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৪

জীবন থেকে নেওয়া (১ম পর্ব)....


জীবন থেকে নেওয়া (১ম পর্ব)....

এই সিরিজে আমাদের বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া কিছু সত্যি ঘটনা গল্পের আকারে প্রকাশ করা হবে। কাহিনীগুলো সত্যি, চরিত্রগুলোর নামগুলো ছদ্মনাম। আশা করি ইন শা আল্লাহ এর দ্বারা বিষয়গুলো নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা গড়ে উঠবে।

গল্পের নামঃ বাবা মায়ের নির্বুদ্ধিতা, সতীত্ব হারিয়ে মেয়ে বিপদগামী....
ট্যাগঃ
#প্রেম_ভালোবাসা,
#সহশিক্ষা,
#হিজাব_পর্দা,
#দাইয়ুস_গার্জিয়ান
#জিনা_ব্যভিচার
#অবৈধ_সন্তান
#গর্ভপাত

আজ থেকে বেশ কবছর পূর্বের কথা, ঢাকার বাইরের কোন একটি জেলা শহরের কথা...
মুনিয়া সারা জীবন গার্লস স্কুলেই পড়াশোনা করে এসেছে, যেকারণে খুব বেশি ছেলেদের সাথে মেশা হয়ে উঠেনি। তবে হিন্দী নাটক-সিনেমার প্রভাবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতেই সে অভ্যস্ত। তার পরিবারেও ইসলামের খুব একটা চল নেই, তাই হিজাব-পর্দা করতে অভ্যস্ত নয়। যাইহোক, ভালো প্রস্তুতির জন্য এসএসসি পরীক্ষার পূর্বে ছেলে-মেয়ে সহশিক্ষায় প্রাইভেট, কোচিং করা শুরু করলো। সেখানেই পরিচয় হলো রিফাতের সাথে, আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা। অল্প বয়সের প্রেম, কচু পাতার পানির মতো অনিয়ন্ত্রিত যৌবন, খুব সহজেই তারা যিনায় জড়িয়ে পড়লো। ভ্রমরের মতোই যৌবন-মধু পান করে রিফাত একসময় সরে পড়লো, কিন্তু রেখে গেল তাদের দুজনের নিষিদ্ধ বসন্তের বীজ, অনাকাংখিত পরবর্তী বংশধর। একসময়ে ব্যপারটি জানাজানিও হলো। মুনিয়ার পরিবারের মতে তাদের বয়স এখন খুবই কম (যদিও শারীরিক সম্পর্ক করে গর্ভবতী হওয়ার মতো বয়স তার হয়েছে!), আর রিফাতের পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালোনা, যে তাকে মেনে নেবে। মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত বানানো ও পরিবারের মান-সম্মান বাঁচানোর জন্য মুনিয়ার মা উদ্যোগ নিলো, অবৈধ সন্তানকে পৃথিবীতে আসার পূর্বেই নষ্ট করার জন্য। সন্তানকে হত্যা করে সেই কালো অধ্যায়কে চাপা দিলো, কিন্তু এই ধকলের মাঝে মুনিয়ার এসএসসির রেজাল্ট আশানুরূপ হলোনা। মুনিয়ার মা এবার মুনিয়াকে শহরের নামী-দামী কলেজে ভর্তি করালেন, সেটাতেও ছেলে-মেয়ে মিক্সড। মুনিয়ার উপর তার মায়ের সজাগ দৃষ্টি রাখার পরেও কলেজের ছেলেদের চোখ পড়লো মুনিয়ার উপরে। অনেক চেষ্টা করেও মুনিয়া নিজেকে ফিরিয়ে রাখতে ব্যর্থ হলো এবং দ্বিতীয়বারের মতো প্রেমে পড়লো.....
সে অন্য এক কাহিনী।
(সমাপ্ত)