নারী-পুরুষ ফ্রী মিক্সিং এ পড়াশোনা করা হারাম। এনিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এই
ফতোয়াটা দেখুন –
http://islamqa.info/en/8827
আমাদের দেশের অনেক কলেজ ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি বা আকারে-ইংগিতে হিজাব-পর্দাকে
নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যারা হিজাব-পর্দা করছে তাদেরকে
অপমান করা হচ্ছে। এইগুলোতো পড়াশোনা করা আরো বড় হারাম। উল্লেখ করা যেতে পারে, আমাদের দেশে ১৯২১ সালে গড়ে উঠা প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে প্রথম
যেই নারী ভর্তি হয়েছিলো, সে ছিলো একজন হিন্দু মহিলা।
বর্তমান বাংলাদেশে মুসলিমদের মাঝে ইসলাম আস্তে আস্তে উঠে গেলেও, একসময় বাঙ্গালীদের মাঝে যথেষ্ঠ ইসলামের চর্চা ছিলো। ইসলামী আদর্শে গড়ে উঠা
রক্ষণশীল পরিবারের মুসলিমরা জানতো নারীদেরকে পুরুষদের মাঝে ছেড়ে দিলে কি হবে, তাই মুসলিমরা সাধারণত মেয়েদেরকে গার্লস স্কুল-কলেজ ছাড়া পড়াতোনা। সেই দিন গত
হয়েছে,
বাঙ্গালীরা মুসলিমরাও এখন অনেক মডার্ণ(!) হয়েছে। তাইতো
ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা পর্ণ মুভি বানানোর ব্যবসায় নেমেছে, সরকারী-বেসরকারী ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসগুলো ও এইগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠা হোস্টেল
ও মেসগুলো এখন মিনি পতিতালয়ে পরিনত হয়েছে।
পোস্টের ছবিটা #সুদী ব্যংকের টাকা দিয়ে গড়া
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে #নিকাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এটা পরিছন্ন ও শালীন
পোশাক নয় এবং এতে তাদেরকে চেনা যাবেনা এই যুক্তিতে! আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লা মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর নাযিল করা #শরিয়াতে নিকাব পড়াকে বাধ্যতামূলক করেছেন, আর সুশীল
সমাজের প্রতিনিধিরা সেটাকে নিষিদ্ধ করেছে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)।
চিন্তা করে দেখুন এদের কত স্পর্ধা, তথাকথিত ৮৮%
মুসলমানের দেশে একটি ফরয বিধানকে এরা নিষিদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে! অথচ তাদের
লন্ডন,
এমেরিকার প্রভুরা এখন পর্যন্ত এই দুঃসাহস দেখায়নি। সেখানকার
মুসলিম নারীরা পূর্ণাংগ হিজাব-পর্দা করেই পড়াশোনা করতে পারছে। এবার তাহলে বুঝুন, বাঙ্গালীরা কত ইসলামভক্ত! আল্লাহর একটা কথা আগে থেকেই লিখে রেখেছেন, মুসলমানেরা যখন ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবে তখন, তাদের শত্রুদেরকে দিয়েই তাদেরকে দুনিয়াতে কিছুটা শাস্তি দেবেন, এতে যদি সংশোধন নাহয় তাহলে পরকালে রয়েছে কঠোর আজাব। আমাদের দেশে
নাস্তিক-মুর্তাদ ও ইসলাম বিদ্বেষী সুশীলদের উত্থান সেই আজাবের একটা অংশ।