#ব্রেকিং
পাকিস্থানের পেশোয়ারে আর্মিদের পরিচালিত একটি স্কুলে আত্মঘাতী
বোমা হামলায় অন্তত ১২৬ জন নিহত হয়েছে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। নিহতের
মাঝে ১০০র বেশি হচ্ছে শিশু। আজ দুপুর বেলায় অন্তত ৬ জন বা তথোধিক আত্মঘাতী বোমা
হামলাকারী স্কুলের মাঠে এবং ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসে ঢুকে ঠান্ডা মাথায়,
জেনে-বুঝেই গুলি করে একে একে শিশুদেরকে হত্যা।
“তাহরিক-এ-তালেবান” নামে একটি সংগঠন এই সন্ত্রাসী আক্রমনের দায়
স্বীকার করেছে। তাদের দাবী অনুযায়ী, বিগত জুন মাসে তাদের উপর আর্মিদের আক্রমন, বিশেষ
করে তাদের জাতির নারী ও শিশুদের হত্যা করার জন্য প্রতিশোধ হিসেবে এই আক্রমন তারা করেছে।
আর্মিদের স্কুলের শিশুদের হত্যা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে
করে সরকার তাদের বেদনা বুঝতে পারে।
আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন, এই ঘটনা কে ঘটিয়েছে, তবে যারাই
এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ইসলাম ও মানবতার দুশমন।
“যে কেউ কিসাস (প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ) অথবা পৃথিবীতে ফাসাদ
(অনর্থ, বিপর্যয়) সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে, সে যেন সমস্ত মানুষকেই হত্যা করলো।”
[সুরা আল-মায়িহাদঃ ৩২]
স্বরণিকাঃ
= ) সারা বিশ্বে অত্যাচারী ও জালেম সম্প্রদায় বিভিন্ন মুসলিম
ভূমিতে আক্রমন করে দখলদারিত্ব কায়েম করতে চাচ্ছে, এজন্য তারা প্রতিরোধকারীদেরকে
জঙ্গী, সন্ত্রাসী, তালেবান ইত্যাদি লেবেল দিয়ে নির্বিচারে আক্রমন করে মুসলমান
নারী-পুরুষদেরকে হত্যা করছে। এই ধরণের ঘটনা, মূলত সেই সাম্রাজ্যবাদের ফসল।
== ) এই আক্রমন যেই করে থাকুক না কেনো, এরা ইসলামের শত্রুদের
হয়ে কাজ করছে। এরা মুখে দাবী করে ইসলাম, কিন্তু আসলে এদের যুদ্ধ শয়তানের পথে। এ ধরণের
আক্রমন করে নিরীহ শিশু ও মানুষ মারার কারণে একমাত্র ইয়াহুদী-খ্রীস্টান ছাড়া আর কেউ
খুশি বা লাভবান হয়না। এই ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিয়ে তারাইসলামের দুশমনদেরকে
মুসলমান দেশ আক্রমন করার অজুহাত দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে এবং #জিহাদকে সন্ত্রাসী
কার্যকলাপ বলে সাব্যস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ধরণের সন্ত্রাসীদের উপরেই
ওলামাদের ফতোয়া হচ্ছে, “এদের জিহাদ
হচ্ছে শয়তানের রাস্তায়।”
দুঃখজনকভাবে, অনেক বিভ্রান্ত ও জাহেল কিশোর ও তরুণ সমাজ
এদেরকেই মুজাহিদ বলে ধোঁকা খাচ্ছে। আল্লাহু মুস্তাআ’ন।
#জিহাদী_নয়_খারেজী