প্রশ্নঃ ‘আল-কায়েদাহ’ কারা?
উত্তরঃ ‘মদীনা
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’র
অত্যন্ত প্রবীণ একজন আলেম, মুহাদ্দিস এবং মসজিদে নববী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মানিত মুদাররিস, আল্লামাহ
আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ (হাফিঃ) কে আল-কায়েদাহর ব্যপারে জিজ্ঞাস করা হয়েছিলোঃ
প্রশ্নকর্তাঃ
কিছু মানুষ বলে, আল-কায়েদাহ সংগঠনটি হচ্ছে বর্তমান যুগের ‘খারেজী’, অন্যেরা তাদেরকে ‘মুজাহিদ’ বলে। আল-কায়েদাহর ব্যপারে আপনার রায় কী?
“তারা
(আল-কায়েদাহ) মুজাহিদ, তবে শয়তানের রাস্তায়। নাআ’ম।”
_________________________
‘তানজীম
কায়িদাতুল জিহাদ’
বা সংক্ষেপে আল-কায়েদাহর প্রধান হচ্ছে আইমান আল-জাওয়াহিরি, যে প্রথমে ইখোয়ানুল
মুসলিমিন (মুসলিম ব্রাদারহুড) দলের সদস্য ছিলো। পরে সে সাইয়েদ কুতুবের ‘চরমপন্থী মতবাদ’ নিয়ে সেই দল ত্যাগ করে এবং চরমপন্থী সন্ত্রাসী
নীতির উপরে ‘আল-কায়েদাহ’ নামে গেরিলা বাহিনী গঠন করে যাদের প্রধান
কাজ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক মানুষ হত্যা ও সম্পদ বিনষ্ট করা। তাদের
আক্রমন থেকে কাফের বা মুসলমান কেউই বাদ যায়না। এইভাবে নিজেদেরকে হত্যা করে এবং
নিরীহ কাফের ও মুসলমান হত্যা করাকে তারা ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ’ মনে করে। আল-কায়েদাহ সবচেয়ে বেশি কুখ্যাতি
অর্জন করেছে তাদের আত্মঘাতী বোমা হামলাগুলোর দ্বারা, যেখানে তারা ‘ফিদায়ী হামলা’ নাম দিয়ে নির্বিচারে নিরীহ মানুষ হত্যা করে
সারা পৃথিবীর সামনে মুসলমানদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তুলে ধরছে, ‘মানুষ হত্যার নামই হচ্ছে জিহাদ’ এই ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে। স্বাভাবিকভাবেই
ইসলামের দুশমন প্রচার মাধ্যমগুলো তাদের কার্যকলাপ খুব বেশি প্রচার করে, যার দ্বারা
ইসলাম এর নাম কলংকিত করে দাওয়াতের কাজ বন্ধ করতে পারে। অথচ ইসলাম ও জিহাদের সাথে
আল-কায়েদাহর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কোন সম্পর্ক নেই। আফসোস! অনেক অল্পবয়ষ্ক তরুণ
যুবকেরা আল-কায়েদাহ মতাবলম্বী পথভ্রষ্ট বক্তাদের (যেমন আনোয়ার আল-আওলাকি, জসীম উদ্দিন
রাহমানী, আবু মুহাম্মাদ আল-মাকদিসি, আব্দুল্লাহ ফয়সাল জ্যামাইকি...) চমকপ্রদ
কথাবার্তায় ধোঁকা খেয়ে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপকেই জিহাদ মনে করছে। এই সমস্ত
সন্ত্রাসী সংগঠগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের তরুণ সমাজকে সতর্ক করতে হবে, যাতে করে তারা যুবক
ভাইদেরকে জেএমবি-র মতো বোমাবাজি করে মানুষ হত্যা করার ধ্বংসাত্মক রাস্তায় নিতে না পারে।
https://www.youtube.com/watch?v=eWLHW6Ywbmw