ঈমানের সহিত মৃত্যুবরণ করার জন্য দুয়াঃ
রাতে ঘুমানোর পূর্বে
১. ওযু করে,
২. ডান কাতে শুয়ে
৩. নিচের এই দুয়াটা পড়ে ঘুমাতে হবে।
ঘুমানোর পূর্বে যেকোন দুয়া এবং কথা শেষ করে এই দুয়াটাকে সর্বশেষ কথা বানাতে হবে। এই দুয়া পড়ে কোন ব্যক্তি যদি ঐ রাত্রেই মৃত্যুবরণ করে, তাহলে ইন শা’আল্লাহ তার মৃত্যু ইসলামের উপরেই হবে। আর যদি জীবিত অবস্থায় তার সকাল হয়, তাহলে দিনের বেলা সেই দুয়ার উপকার পাবে। উল্লেখ্য, গোসল ফরয অথবা নারীদের ঋতু অবস্থাতেও যদি এই ফযীলত পেতে চান, তাহলে তখনও ঘুমানোর পূর্বে ওযু করেই এই দুয়া পড়তে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য তায়াম্মুম করাই যথেষ্ঠ হবে।
«اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ،
وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ،
رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ،
آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ».
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়া ফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহি ইলাইকা, ওয়াআলজা’তু যাহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা। লা মালজা’আ ওয়ালা মাংজা মিংকা ইল্লা ইলাইকা। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আংনযালতা, ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি নিজেকে তোমার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় তোমার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারাকে তোমার দিকেই ফিরিয়ে দিলাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকেও তোমার দিকেই ন্যস্ত করলাম; তোমার (জান্নাতের) আশায় অনুরাগী হয়ে এবং তোমার (জাহান্নামের) ভয়ে ভীত হয়ে। তুমি ছাড়া আর কোন আশ্রয়স্থল ও পরিত্রাণস্থল নেই। আমি সেই কিতাবের প্রতি ঈমান আনলাম যা তুমি নাযিল করেছো এবং সেই নবীর প্রতি ঈমান আনলাম যাকে তুমি পাঠিয়েছ।
বারাআ ইবনে আযেব (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “হে অমুক! তুমি যখন নিজের বিছানায় ঘুমাতে যাও, তখন বলো (উপরে বর্ণিত দুয়াটি), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “(এ দো’আ পড়ার পর) তুমি যদি সেই রাতে মৃত্যুবরণ কর, তাহলে তুমি ইসলামের উপরেই মৃত্যুবরণ করবে। আর যদি তুমি সকালে বেঁচে থাকো, তাহলে (এই দুয়ার) কল্যাণ লাভ করবে।”
একই রাবী (বারাআ ইবনে আযেব রাঃ) থেকেই ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি যখন রাতে ঘুমাতে যাও, তখন নামাযের অযুর মতোই অযু করো, তারপর ডান কাতে শুয়ে এই দো’আটি পড়ো। এ কথা বলে তিনি উপরোক্ত দো’আটি পড়েন। অতঃপর তিনি বলেনঃ এই দো’আটি একেবারে শেষ দিকে পড়বে (অর্থাৎ, এই দুয়া পড়ার পর অন্য কোন দুয়া পড়বেনা বা কোন কথা বলবেনা)।
[বুখারীঃ ৬৩১৩, মুসলিমঃ ২১০, তিরমিযিঃ ৩৩৯৪, আবু দাউদঃ ৫০৯৬, ইবনু মাজাহঃ ৩৮৭৬, আহমাদঃ ১৮০৪৪, দারেমীঃ ২৬৮৩]
রাতে ঘুমানোর পূর্বে
১. ওযু করে,
২. ডান কাতে শুয়ে
৩. নিচের এই দুয়াটা পড়ে ঘুমাতে হবে।
ঘুমানোর পূর্বে যেকোন দুয়া এবং কথা শেষ করে এই দুয়াটাকে সর্বশেষ কথা বানাতে হবে। এই দুয়া পড়ে কোন ব্যক্তি যদি ঐ রাত্রেই মৃত্যুবরণ করে, তাহলে ইন শা’আল্লাহ তার মৃত্যু ইসলামের উপরেই হবে। আর যদি জীবিত অবস্থায় তার সকাল হয়, তাহলে দিনের বেলা সেই দুয়ার উপকার পাবে। উল্লেখ্য, গোসল ফরয অথবা নারীদের ঋতু অবস্থাতেও যদি এই ফযীলত পেতে চান, তাহলে তখনও ঘুমানোর পূর্বে ওযু করেই এই দুয়া পড়তে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য তায়াম্মুম করাই যথেষ্ঠ হবে।
«اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ،
وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ،
رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ،
آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ».
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়া ফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহি ইলাইকা, ওয়াআলজা’তু যাহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা। লা মালজা’আ ওয়ালা মাংজা মিংকা ইল্লা ইলাইকা। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আংনযালতা, ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি নিজেকে তোমার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় তোমার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারাকে তোমার দিকেই ফিরিয়ে দিলাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকেও তোমার দিকেই ন্যস্ত করলাম; তোমার (জান্নাতের) আশায় অনুরাগী হয়ে এবং তোমার (জাহান্নামের) ভয়ে ভীত হয়ে। তুমি ছাড়া আর কোন আশ্রয়স্থল ও পরিত্রাণস্থল নেই। আমি সেই কিতাবের প্রতি ঈমান আনলাম যা তুমি নাযিল করেছো এবং সেই নবীর প্রতি ঈমান আনলাম যাকে তুমি পাঠিয়েছ।
বারাআ ইবনে আযেব (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “হে অমুক! তুমি যখন নিজের বিছানায় ঘুমাতে যাও, তখন বলো (উপরে বর্ণিত দুয়াটি), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “(এ দো’আ পড়ার পর) তুমি যদি সেই রাতে মৃত্যুবরণ কর, তাহলে তুমি ইসলামের উপরেই মৃত্যুবরণ করবে। আর যদি তুমি সকালে বেঁচে থাকো, তাহলে (এই দুয়ার) কল্যাণ লাভ করবে।”
একই রাবী (বারাআ ইবনে আযেব রাঃ) থেকেই ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি যখন রাতে ঘুমাতে যাও, তখন নামাযের অযুর মতোই অযু করো, তারপর ডান কাতে শুয়ে এই দো’আটি পড়ো। এ কথা বলে তিনি উপরোক্ত দো’আটি পড়েন। অতঃপর তিনি বলেনঃ এই দো’আটি একেবারে শেষ দিকে পড়বে (অর্থাৎ, এই দুয়া পড়ার পর অন্য কোন দুয়া পড়বেনা বা কোন কথা বলবেনা)।
[বুখারীঃ ৬৩১৩, মুসলিমঃ ২১০, তিরমিযিঃ ৩৩৯৪, আবু দাউদঃ ৫০৯৬, ইবনু মাজাহঃ ৩৮৭৬, আহমাদঃ ১৮০৪৪, দারেমীঃ ২৬৮৩]
দুয়াটার শুদ্ধ উচ্চারণ শুনুন এই লিংকে –
https://www.youtube.com/watch?v=BNuzt57D9hA&list=PL600A3BDB7B994477