রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

মুসলমান সমাজে মুশরেকিনদের সংস্কৃতির ছোবল

মুসলমান সমাজে মুশরেকিনদের সংস্কৃতির ছোবলঃ “স্টার জলসা দেখা নিয়ে মারামারি, হাসপাতালে স্বামী-স্ত্রী”

জাতিগতভাবে ইন্ডিয়ানরা হচ্ছে মুশরেক জাতি। মুশরেকরা যদি চাঁদের দেশেও ভ্রমণ করতে যায়, তবুও রকেটে চড়ার পূর্বে ইঁদুর, বাঁদর, সাপ কিংবা হনুমানের পূজা দিয়ে যাবে, কারণ তারা আল্লাহকে চেনেনা, তাই চোখের সামনে যা কিছু দেখে সবকিছুকেই তাদের কাছে ভগবান বলে মনে হয়। পূজা দিতে দিতে এমনকি তারা নারী পুরুষের প্রজনন অংগেরও পূজা দেয়। এইজন্যেই হয়তোবা বর্তমানে অশ্লীলতা, নগ্নতা ও ধর্ষণের দিক থেকে তারা সবচাইতে এগিয়ে। এই দেশের মন্দিরের পুরোহিত, ধর্মগুরু ও সন্যাসীরাই শিক্ষা দিয়ে গেছে, কিভাবে স্বর্গের লোভ দেখিয়ে কুমারী মেয়েদেরকে তাদের ধর্মগুরুদের ‘সেবাদাসী নাম দিয়ে ‘যৌনদাসী’ বানানো যায়। আজ পর্যন্ত মন্দিরের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি ও মূর্তি এবং সেইগুলোর নৃত্য তার স্মৃতি ধরে রেখেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবের সেই মুশরেকিনদের দেশের সংস্কৃতির চর্চা আজ তথাকথিত মুসলমান সমাজের মাঝেও ঢুকে গেছে। ঘন্টার পর ঘন্টার নারী-পুরুষ ও শিশুরা মুশরেকদের নাটক-সিনেমা দেখে তাদের জীবন ব্যবস্থার দীক্ষা নিচ্ছে। ফলে মুসলমানদের চরিত্র ও সমাজ এখন মুশরেকিনদের মতোই হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ, সেই বিষাক্ত সমাজ ও সভ্যতার ছোবলের একটি নমুনা দেখুন_____

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার সিরিয়াল #কিরণমালা দেখা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে রক্তাক্ত হয়েছেন এক দম্পতি। আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে যশোর শহরের ঘোপ বেলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বামীর নাম আবদুর রহমান। তিনি একজন রিকশাচালক। তাঁর স্ত্রীর নাম লিপি। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুর রহমান ও লিপির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিরণমালা সিরিয়ালটি দেখতে দুপুরে বাড়ি ফেরেন রিকশাচালক আবদুর রহমান। রিকশা রেখে দুপুরে অনুষ্ঠান দেখতে বসেন তিনি। স্ত্রীর শত অনুরোধেও তিনি কাজে বের হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে কথা–কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী লিপিকে ঘরের দরজার খিল (দুই পাল্লা আটকানোয় ব্যবহার্য কাঠের খণ্ড) দিয়ে আঘাত করেন। এতে স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্টার জলসার কিরণমালা নাটকটা আমার খুব ভালো লাগে। ওই অনুষ্ঠানই আমি দেখি। দুপুরে নাটকটা দেখার সময় বউ বারবার কাজে বের হতে বলে। একপর্যায়ে উল্টোপাল্টা কথা বলতে থাকে। মাথায় রক্ত উঠে যায়। ঘরের খিল দিয়ে ওর মাথায় বাড়ি মারি। পরে সেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দিয়ে আমার পায়ে কোপ মারে।’
হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান জানান, ‘চিকিৎসাধীন স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের শরীরে জখম রয়েছে। একজনের মাথার আঘাত গুরুতর আছে।’
(আজকের জাতীয় পত্রিকা থেকে নেওয়া)