৪ মাযহাবই ঠিক?
#হাম্বালি ও #শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী আমিন জোরে
বলতে হবে এবং আমিন জোরে বলা সুন্নত। আর #হানাফী মাযহাবে
আমিন আস্তে বলতে হবে, জোরে আমিন বলা নতুন একটা ফেতনা।
আমিন জোরে বলা নিয়ে বিভিন্ন মাযাহবের অবস্থানঃ
১. শাফেয়ী মাযহাবঃ “জেহরী নামাযে
আমিন জোরে বলা মোস্তাহাব”
শাফেয়ী মাযহাবের বড় আলেম, ইমাম নববী
রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “যদি নামায এমন
হয়ে থাকে যে, যেই নামাযে ক্বিরাত চুপিচুপি পড়া হয়, তাহলে ক্বিরাতের অনুযায়ী ইমাম ও মুক্তাদির উচিৎ সেই নামাযগুলোতে আমিন আস্তে
বলা। আর যদি নামায এমন হয়ে থাকে যেখানে ক্বিরাত উচ্চস্বরে পড়া হয়, তাহলে মুসল্লিদের জন্য মুস্তাহাব হচ্ছে আমিন উচ্চস্বরে বলা। এই ব্যপারে কোন
মতপার্থক্য নেই।”
আল-মাজমু ৩/৩৭১।
২. হাম্বালি মাযহাবঃ “জেহরী আমিন
জোরে বলা সুন্নত”
ইমাম ইবনে কুদামাহ রাহিমাহুল্লাহ তাঁর বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ‘আল-মুগনি’ তে উল্লেখ করেছেন, “ইমাম ও মুক্তাদীদের জন্য সুন্নত হচ্ছে যখন ক্বিরাত উচ্চস্বরে পড়া হয় তখন আমিন
উচ্চস্বরে বলা, এবং যখন ক্বিরাত নিচু স্বরে পড়া হয়, তখন আমিন নিচুস্বরে বলা।”
আল-মুগনীঃ ২/১৬২।
৩. বাংলাদেশের সূফীবাদী #দেওবন্দী_হানাফীদের সবচাইতে বড় আলেম আহমাদ শফী সাহেব বলেছেন,
“জোরে আমিন বলা যাবেনা, জোরে আমিন বলা নতুন একটা ফেতনা!”
***হানাফি মাযহাবের কিতাবে লেখা আছে,
“আমাদের (হানাফি) মাযহাবই হচ্ছে হক, আর অন্যদের
মাযহাব #বাতিল।”
[দুররে মুখতার ১ম খন্ডঃ ১৮পৃঃ; ৪র্থ খন্ডঃ
২৪৪পৃঃ]