ইমাম আবু দাউদের নির্বাচিত ৪টি হাদীসঃ
ইমাম আবু দাউদ রহিমাহুল্লাহ তাঁর বিশাল গ্রন্থ ‘সুনানে আবু দাউদ’ এর হাদীসসমূহ
থেকে মাত্র চারটি হাদীস কোন ব্যক্তির দ্বীনদারির জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য
করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ সেই ৪টি হাদীস নিচে বর্ণনা করা হলো।
১. রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তারই পাবে।
সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিয়ে
করার জন্য, তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য
সে হিজরত করেছে।”
[সহীহ্ আল-বুখারীঃ ১, সহীহ্ মুসলিমঃ ১৯০৭।
২. রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“অনর্থক এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করাই একজন ব্যক্তির উত্তম ইসলাম।”
[তিরমিযীঃ ২৩১৮, ইবনে মাজাহঃ ৩৯৭৬, হাসান সহীহ]
৩. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে যা সে তার নিজের জন্য
পছন্দ করে।”
[বুখারীঃ ১৩, মুসলিমঃ ৪৫]
৪. রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনঃ
“নিঃসন্দেহে হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট, আর এ দুইয়ের মধ্যে কিছু সন্দেহজনক বিষয় আছে যা অনেকেই জানে না। অতএব, যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় হতে নিজেকে রক্ষা করেছে; সে নিজের দ্বীনকে পবিত্র করেছে এবং নিজের সম্মানকেও রক্ষা করেছে। আর যে
ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বিষয়ে পতিত হয়েছে; সে হারামে পতিত
হয়েছে। তার অবস্থা সেই রাখালের মত যে নিষিদ্ধ চারণ ভূমির চারপাশে (গবাদি পশু) চড়ায়, আর সর্বদা এ আশংকায় থাকে যে, যে কোন সময় কোন পশু
তার মধ্যে প্রবেশ করে চরতে আরম্ভ করবে। তোমরা সাবধান! প্রত্যেক রাজা-বাদশাহর একটি
সংরক্ষিত এলাকা আছে। আর আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে তাঁর হারামকৃত বিষয়াদি।
সাবধান! নিশ্চয়ই শরীরের মধ্যে এমন একটি গোশতের টুকরা আছে; যখন তা ঠিক থাকে তখন সমস্ত শরীর ঠিক থাকে, আর যখন তা নষ্ট
হয়ে যায় তখন গোটা দেহ নষ্ট হয়ে যায়, এটা হচ্ছে
ক্বালব (হৃদপিণ্ড)।”
[বুখারীঃ ৫২, মুসলিমঃ ১৫৯৯]