“আইসিস (ISIS) ভয়ংকর
রক্তপিপাসু খুনির দল।”
- শায়খ মুহাম্মদ বিন রামযান হাজিরি।
‘ইসলামী’ আকীদাহঃ
> নাবী করিম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম
মক্কা বিজয়ের পর বলেছিলেন, “আজকের পর (মক্কা থেকে) আর কোন হিজরত নেই;
তবে জিহাদ ও নিয়্যত অবশিষ্ট আছে। আর যখন তোমাদেরকে জিহাদের জন্য বের হতে বলা হবে তখন
তোমরা বের।”
উপরের এই হাদীস দ্বারা, মক্কা বিজয়ের পর নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে ‘হিজরত’ এর নিয়তে অন্য কোথাও
যাওয়াকে রহিত করে দিয়েছেন।
আইসিস (ISIS) খারেজীদের ভ্রান্ত আকীদাহঃ
> আইসিস (ISIS) এর ‘জাহেল আল-মুরাক্কাব’ মুফতিরা ফতোয়া দিয়েছে,
“মুসলমানদের জন্য মক্কা-মদীনা
থেকে হিজরত করে বাগদাদে চলে যাওয়া ফরয।” (আউযুবিল্লাহিমিনাশ
শাইতানির রাযীম)!
তাদের যুক্তি কি?
নিকৃষ্ট এই খারেজীদের আকিদাহ হচ্ছেঃ বর্তমানে
আইসিসের প্রতারক খুনি নেতা আবু বকর বাগদাদী ছাড়া বিশ্বে আর কোথাও কোন মুসলমান শাসক
নেই! তাদের মতে তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান কাফের (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক), আরব
আমিরাতের বাদশাহ খলিফাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান কাফের (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক), সৌদি
আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ কাফের (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক),...
এইরকম তাদের মতো সমস্ত মুসলমান দেশের রাজা-বাদশাহ
ও প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীরা কাফের হয়ে গেছে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক), মুসলমানদের জন্য সারা বিশ্বই নাকি এখন দারুল কুফর
হয়ে গেছে। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)।
আবু বারা নামের একজন অল্পবয়ষ্ক জাহেল ইংলিশ স্পিকিং
বক্তা খারেজীদের এই ফতুয়া(!) ইংল্যান্ডে প্রচার করে তারমতোই অন্য তরুণ ছেলেপিলেদেরকে
বিভ্রান্ত করছে, যদিও সে নিজেই ইউকে ছেড়ে বাদদাদে হিজরত করে চলে যাচ্ছেনা। এদের মতো
বিভ্রান্ত বক্তারা জিহাদ জিহাদ করে আর মুসলমানদেরকে কাফের-মুশরেক বলে দিনরাত ফতোয়াবাজি
করে, কিন্তু নিজেরা কোনদিন কথিত সেই জিহাদে শরীক হয়না। আমাদের দেশের জসীম উদ্দিন হচ্ছে
তার আদর্শ উদাহরণ।
অল্পবয়ষ্ক মূর্খ ফতোয়াবাজদের ব্যপারে মুসলিম
উম্মাহকে সতর্ক করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “শেষ যামানায় একদল তরুণ
বয়সী, নির্বোধ লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা সবচাইতে উত্তম কথা বলবে। তারা ইসলাম থেকে
এত দ্রুত গতিতে বের হয়ে যাবে যেইভাবে তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়। তাদের ঈমান তাদের
কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তোমরা তাদেরকে যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে। কারণ যে
তাদেরকে হত্যা করবে তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট নেকী রয়েছে।” [বুখারী, মুসলিম, আবূ
দাউদঃ ৪৭৬৭, নাসাঈ]
এদের পথভ্রষ্ট বক্তাদের ফেতনার ভয়াবহতা সম্পর্কে
আল্লামাহ, শায়খ সালেহ আল-ফাওজান হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন, “বর্তমান যুগে অন্য অনেক
ফেতনার সাথে এই উম্মত সবচাইতে বড় যে ফেতনার সম্মুখীন সেটা হচ্ছে, অনেক দ্বায়ী আছে যারা
জ্ঞান ছাড়াই অজ্ঞতাবশত মানুষকে গোমরাহী ও বাতিলের দিকে দিকে দাওয়াত দিচ্ছে।”