বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪

আল্লাহ সীমালংঘনকারী জাতিকে পছন্দ করেন না

আল্লাহ সীমালংঘনকারী জাতিকে পছন্দ করেন না।
[সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৯০]
_____________________
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, ঢাকাকে বলা হয়ে থাকে মসজিদের শহর।
কিন্তু,,,
১. ঢাকার রাস্তায় কবর-মাযার পূজা, পীর পূজা, পাথর, মিনার, মূর্তি ও ভাস্কর্য পূজাসহ যাবক্তীয় শিরকি ও কুফুরী কাজে সয়লাব....
২. বেনামাযীর কুফুরীতে পুরো জাতি নিমজ্জিত....
৩. মানব রচিত শিরকি আইন আর তন্ত্র-মন্ত্র ও মতবাদ দিয়ে দেশ চলে। এনিয়ে খুন-খারাপি, পাশবিকতা ও নৃশংসতা চলে....
৪. প্রতিটি রাস্তায় কয়েকটা করে সুদী ব্যংকের ব্রাঞ্চ, যেই সুদের বিরুদ্ধে আল্লাহ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন....
৫. কথিত মুসলমান নারী-পুরুষেরা হিন্দু সভ্যতার অন্ধ অনুকরণে নগ্নতা ও অশ্লীলতা ও যিনা-ব্যভিচারের প্রকাশ্য প্রদর্শনীর নোংরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত....
৬. স্কুল-কলেজ নাম দিয়ে বেদ্বীন, ইসলাম বিদ্বেষী পাপিষ্ঠ বানানোর শয়তানী ষড়্যযন্ত্রে বিভ্রান্ত তরুণ সমাজ....
_____________________
এমন একটা দেশের উপর আল্লাহর গজব আসবেনা তো, কাদের উপরে আসবে??
স্বরণ করা যেতে পারে, বড় রকমের ভূমিকম্পের জন্য বিশ্বের মাঝে ঢাকা সবচাইতে বেশি বিপদজনক অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি মাযার পূজারীদের মূল সেন্টার, বিভ্রান্ত শিয়াদের দেশ ইরানও বিপদজনক এই লিস্টে রয়েছে। বাংলার মানুষ যদি তোওবা করে ইসলামের মাঝে ফিরে না আসে, হতে পারে মহাপরক্রমশালী আল্লাহ তায়ালা মহস্থানগড়ের বৌদ্ধদের মতো তাদেরকেও কঠিন আজাব দেবেন, অথবা সিডর, আইলার মতো কোন বিপদ চাপিয়ে দেবেন। একটা জাতি যদি তোওবা করে তাহলে তারা শাস্তির উপযোগী হলেও রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে কিছু সময় অবকাশ দেন, পার্থিব জীবন ভোগ করার জন্য।
_____________________
আমাদের নিজেদের ও পরিবারের সংশোধনের পাশাপাশি অন্যদেরকেও সতর্ক করতে হবে এবং মানুষকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিতে হবে। একটা কথা ভুলে গেলে চলবেনা, আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন জাতির উপর আযাব-গজব আসলে তা আলেম-জালেম সকলকেই স্পর্শ করে, তবে কেয়ামতের দিন সবাই নিজ নিজ আমল অনুযায়ীই উঠবে।
_____________________
আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন, আমরা যেনো আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি, আমিন।
_____________________
***মহস্থানগড় হচ্ছে প্রাচীনকালের বৌদ্ধদের মঠ আর মন্দির, যেখানে যোগী-সন্নাসীরা মূর্তি পূজা করতো। আল্লাহ তাদেরকে ভয়াবহ শিরকের শাস্তিস্বরূপ মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করে দেন এবং তার উপরে আমাদেরকে মুসলমান করে বসবাস করতে দিয়েছেন। আমরা মাটি খুড়ে আল্লাহর লানতপ্রাপ্ত সেই জাতির ইতিহাস খুজে বের করেছি কিন্তু কোন শিক্ষা নেইনি। তাইতো মুসলমানেরা এখন টাকা খরচ করে আনন্দ-ফূর্তি করার জন্য সেই মন্দিরে যায়। যেখানে আল্লাহর গজব নাযিল হয়েছিলো, তার উপরে মুসলমানেরা যায় আনন্দ করার জন্য?
হায়রে মুসলিম! যে আল্লাহ তোমায় সৃষ্টি করল তার অবাধ্য হচ্ছ? দুনিয়ার ফুর্তিতে পরকালের যে এমন অপকর্মের জন্য হিসাব দিতে হবে মৃত্যুর পর তা কি ভুলে যাচ্ছেন।আপনি আগুন টেনে আনতে চান নিজের জীবনে? শয়তানের পথকে অনুসরন না করে আল্লাহের পথে ফিরে আসুন।
_____________________
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ দিতে চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ছাড়া তাদের জন্যে আর কোন সাহায্যকারী নেই।

[সুরা রদঃ ১১]