কি করে বুঝবেন আপনার অন্তর শক্ত হয়ে গেছে?
১. ইবাদতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন, ইবাদতের প্রকৃত স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন।
২. সুন্নত মানা কঠিন হয়ে যাবে।
৩. ক্বুরানের আয়াত শুনে অন্তরে কোন প্রভাব পড়বেনা। আল্লাহর কথা শুনে মনে আশা ও
ভয় সৃষ্টি হবেনা অথবা চোখে পানি আসবেনা।
৪. হারাম কাজের প্রতি ভালোবাসা ও তা থেকে বেচে থাকা কঠিন মনে হবে।
৫. তোওবা করতে অনীহা, নিজের কাছে নিজেকেই ধোকা দেওয়ার প্রবণতা।
উপরে এইগুলো হচ্ছে দুর্বল ঈমান ও অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। নিচে অন্তর নরম
করার কিছু আমল বর্ণনা করা হলোঃ
১. মনোযোগ সহকারে বেশি করে ক্বুরানুল কারীমের তেলাওয়াত শোনা এবং তর্জমা ও তাফসীর
পড়া এবং অনুধাবন করা।
২. সহীহ হাদীসে বর্ণিত নবী ও রাসুলদের কাহিনী পড়া।
৩. মানুষকে নেক কাজের দিকে উতসাহ দেওয়া ও জাহান্নামের ভয় দেখানোর সহীহ হাদীসগুলো
পড়া।
৪. মৃত্যু এবং তার পরের জীবন সম্পর্কে জানা এবং এ সম্পর্কে ঈমান মজবুত করা।
৫. সর্বদাই আল্লাহকে স্বরণ রাখা, বিশেষ করে মাসনুন দুয়াগুলো পড়া।
৬. নেককার, আলেম ও ধার্মিক লোকদের সংগী হওয়া এবং হারাম ও পাপ কাজের অনুষ্ঠান ও
তাদের সাথে জড়িত লোকদের বর্জন করা।
৭. অসুস্থ, দরিদ্র এবং বয়ষ্ক লোকদের দেখতে যাওয়া, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা।
৮. হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার, গীবতসহ মন্দ চরিত্র থেকে বেচে থাকা।
৯. পাপাচার, ফাসেক ও জাহেল লোকদের সমাবেশ যেমন বাজার, টিভি, ফেইসবুক, টুইটার, ইত্যাদি
ফেতনাপূর্ন বিষয়গুলো বর্জন করা।
১০. আল্লাহর কাছে দুয়া করা এবং সাহায্য চাওয়া।
১১. গায়ের মাহরামদের প্রতি দৃষ্টিপাত না করা এবং তাদের দিকে অন্তর ঝুকে না থাকা।
১২. পরিবার ও আত্মীয়দের সাথে ভালো আচরণ করা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
১৩. যাবতীয় পাপাচার বিশেষ করে কবীরাহ গুনাহ ও বিদাত থেকে বেচে থাকা।
১৪. তাক্বদীরকে মেনে নেওয়া এবং সর্ব্দাই আল্লাহর উপর খুশি থাকা।
আল্লাহ আমাদের সকলেই তোওফিক দান করুন, আমিন।
#আনসারুস_সুন্নাহ