আহমদ শফী সাহেব কোন আল্লামাহ নয়, একজন জাহেল আল-মুরাক্কাবঃ
দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হানাফী মাদ্রাসার
প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমাদ শফী সাহেব তার এক ওয়াজে বলেন,
“জোরে আমিন বলা নতুন একটা ফেতনা।”
তার বক্তব্যের লিংক –
https://www.youtube.com/watch?v=UmWYo2WouJ4&feature=youtu.be
এ কারণে তিনি সালফীদেরকে মসজিদে মসজিদ জোরে আমিন বলতে নিষেধ
করেন। তাঁর দেখাদেখি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মসজিদের হানাফী মুকাল্লিদ (অন্ধ অনুসারী)
ইমামরাও আমিন জোরে বলা যাবেনা বলে ফতুয়া(!) দিচ্ছেন।
এতে নাকি ফেতনা হবে, ভয় পেয়ে হানাফীদের নামায ভংগ হয়ে যাবে ইত্যাদি...
- এই হচ্ছে মাযহাব নাম দিয়ে সহীহ হাদিসকে উপেক্ষা করে উম্মতকে
ভাগ করার পরিণাম। মুখে বলবে ৪ মাযহাব হক্ক, কিন্তু অন্য মাযহাবের আমল দেখলে হিংসায়
জ্বলে-পুড়ে মরবে। তাকিলিদ এর পক্ষে তর্ক করার সময় সবাই সমান, কিন্তু বাস্তবে আমাদের
মাযহাব ছাড়া অন্য সব ভুল - এই অহংকারে ভুগবে। সহীহ হাদীস মেনে তাদের বুজুর্গদের অন্ধ
অনুকরণ না করলেই ফেতনা!!
শফী সাহেবের মতো জ্ঞানপাপী, বিভ্রান্ত লোকেরা যদি জাতির রাহবার
হিসেবে চেপে বসে, তাহলে সেই জাতির জন্য অকল্যান বৈ কল্যান কোন কিছু নেই, ৫ই মের ঘটনা
দিয়ে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা তার প্রমান ইতিমধ্যেই পেয়েছেন।
সবচাইতে হাস্যকর ব্যপার হচ্ছে, এইরকম জাহেল আল-মুরাক্কাবকে জিহাদী(!)
আলেম বলে ভুল করে ২০-২২ বছরের কি-বোর্ড মুজাহিদরা আল্লামাহ(!) বলতে অজ্ঞান।
বিদ্রঃ কারো আমিন জোরে বা আস্তে বলার হাদীসগুলোর তাহকীক জানার
আগ্রহ থাকলে ইনবক্স করুন।
বিষয়ঃ নামায ও মাযহাব।
১. নামাযে আমিন আস্তে বলতে হবে, নাকি জোরে বলতে হবে?
২. তিরমিযি শরীফের এক
হাদিসে বলা হয়েছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমিন আস্তে বলতেন, অন্য হাদিসে বলা হয়েছে জোরে বলতেন। কোনটা সহীহ আর কোনটা
জয়ীফ? কোন হাদীসটা মানবো?
৩. ইমাম
আবু হানীফার মতে আমিন আস্তে বলতে হবে। ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ ও ইমাম ইসহাক ইবনে
রাওয়াহ এর মতে জোরে বলতে হবে। কার কথা সঠিক?
প্রাসংগিক কিছু কথাঃ দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী, বাংলাদেশের
সবচেয়ে বড় হানাফী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমাদ শফী সাহেব সম্প্রতি
তার এক ওয়াজে বলেন, “জোরে আমিন বলা নতুন একটা ফেতনা।”
তার বক্তব্যের লিংক –
https://www.youtube.com/watch?v=UmWYo2WouJ4&feature=youtu.be
একারণে তিনি মসজিদে জোরে আমিন বলতে নিষেধ করেন। তাঁর
দেখাদেখি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মসজিদের হানাফী মুকাল্লিদ (অন্ধ অনুসারী) ইমামরাও
আমিন জোরে বলা যাবেনা বলে ফতুয়া(!) দিচ্ছেন। এতে নাকি ফেতনা হবে, হানাফীদের নামায
ভংগ হয়ে যাবে ইত্যাদি...
উত্তরঃ সুরা ফাতেহার শেষে নামাযে আমিন বলা সুন্নত, এ
ব্যপারে সকলেই একমত। কিন্তু যেই নামাযে ক্বিরাত উচ্চস্বরে পড়া হয় (মাগরিব, ইশা ও
ফযরের ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাত), তখন আমিন আস্তে বলতে হবে নাকি জোরে বলতে হবে
এই ব্যপারে দুইটি মত পাওয়া যায়।
ক. ইমাম
আবু হানীফা (রহঃ) ও তাঁর অনুসারীদের মতে, আমিন আস্তে বলা সুন্নত।
খ. ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ, ইমাম ইসহাক ইবনে
রাওয়াহ, ইমাম বুখারী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম নাসায়ী, ইমাম ইবনে খুজায়মা, সহ অন্য
ইমামদের মতে আমিন জোরে বলাই সুন্নত।
এ ব্যপারে তারা কিছু
হাদীস পেশ করে থাকে, যেই হাদীসগুলো আসলে সহীহ নয়। বরং আমিন জোরে বলার হাদীসগুলো
সহীহ। একারণে
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামযে
আমিন জোরে বলেছেন। এনিয়ে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে। যেমন –
১. ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) “ওয়ালাদ্দল্লীন” পাঠ করার পর “আমীন” জোরে বলতেন।
ইবনে মাজাহ, তিরমিযী, সুনানে আবু দাউদ (কিতাবুস স্বলাত) হাদিস নং- ৯৩২।
হাদীসটির সনদের মানঃ ইমাম ইবনে হাজার
আসকালানী (রহঃ) এই হাদীসের সনদকে ‘সহীহ’ বলেছেন, দেখুন – তার রচিত কিতাব
আত-তালখীসুল হাবীরঃ ১/২৩৬, আল্লামাহ শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানী (রহঃ) ও এই হাদীসের
সনদকে ‘সহীহ’ বলেছেন। হাদীসটির মূল আরবী
পাঠঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ،
عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ،
قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَرَأَ { وَلاَ الضَّالِّينَ
} قَالَ " آمِينَ " . وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ
২. ওয়াইল ইবন হুজর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন
আমি রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে “গায়রিল মাগদ্বুবি আ’লাইহিম ওয়ালাদ্বোয়াল্লি-ন” পাঠ করার
পর আমীন বলতে শুনেছি। এ সময় তিনি তা (আমিন) দীর্ঘস্বরে পাঠ করেছেন।”
দেখুনঃ আত্-তিরমিজি, অধ্যায় ২ (সালাত অধ্যায়), হাদিস নং- ২৪৮।
হাদীসটির সনদের মানঃ ইমাম তিরমিযী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান
ও সহীহ বলেছেন। ইমাম দারা কুতনী এই হাদীসকে সহীহ বলেছেন দারা কুতনীঃ (১/৩৩৪)।
ইমাম বাগাভী এইহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, শরাহুস সুনাহঃ ৫৮৬।
এই হাদীসের অনেক শাহেদ থাকায় শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে
‘সহীহ’ সাব্যস্ত করেছেন।
হাদীসটির মূল আরবী পাঠঃ
قَالَ وَفِي الْبَاب عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَبِهِ يَقُولُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ يَرَوْنَ أَنَّ الرَّجُلَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّأْمِينِ وَلَا يُخْفِيهَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَقُ وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ
{ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ }
فَقَالَ آمِينَ وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ قَالَ أَبُو عِيسَى و سَمِعْت مُحَمَّدًا يَقُولُ حَدِيثُ سُفْيَانَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ فِي هَذَا وَأَخْطَأَ شُعْبَةُ فِي مَوَاضِعَ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ وَإِنَّمَا هُوَ حُجْرُ بْنُ عَنْبَسٍ وَيُكْنَى أَبَا السَّكَنِ وَزَادَ فِيهِ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ عَلْقَمَةَ وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَقَالَ وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ وَإِنَّمَا هُوَ وَمَدَّ بِهَا صَوْتَهُ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ حَدِيثُ سُفْيَانَ فِي هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ قَالَ وَرَوَى الْعَلَاءُ بْنُ صَالِحٍ الْأَسَدِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ نَحْوَ رِوَايَةِ سُفْيَانَ
জোরে আমিন বলা নিয়ে ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, “এ বিষয়ে (আমিন
জোরে বলার উপরে) আলী ও আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও আরো হাদীস বর্ণিত হয়েছে।”
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) আরো বলেছেন, “ওয়াইল ইবন হুজর রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান ও সহীহ। একাধিক সাহাবী, তাবিঈ ও পরবর্তী যুগের আলিম
(আমিন জোরে বলতে হবে) এই মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলেন আমিন নীরবে না বলে উচ্চস্বরেই
বলতে হবে।”
ইমামদের মাঝে ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমদ ও ইমাম ইসহাক (রহঃ) এর অভমত
এ-ই।
দেখুনঃ আত্-তিরমিজি, অধ্যায় ২ (সালাত অধ্যায়), হাদিস নং- ২৪৮।
৩. আতা
ইবনে আবি রাবাহ (রহঃ) বলেন, “আমি মসজিদুল হারামে ২০০ জন সাহাবায়ে ইকরাম (রাঃ) কে
পেয়েছি, যখন “ওয়ালা দ্বোয়াল্লিন” বলা হতো তখন সকলেই “আমিন” জোরে বলতেন।”
বায়হাকীঃ ২/৫৯।
আমিন জোরে বলা নিয়ে আলেমদের ও বিভিন্ন মাযাহবের অবস্থানঃ
১. শাফেয়ী
মাযহাবঃ “জেহরী নামাযে আমিন জোরে বলা মোস্তাহাব”
শাফেয়ী মাযহাবের বিখ্যাত আলেম, ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ
বলেছেন, “যদি নামায এমন হয়ে থাকে যে, যেই নামাযে ক্বিরাত চুপিচুপি পড়া হয়, তাহলে
ক্বিরাতের অনুযায়ী ইমাম ও মুক্তাদির উচিৎ সেই নামাযগুলোতে আমিন আস্তে বলা। আর যদি
নামায এমন হয়ে থাকে যেখানে ক্বিরাত উচ্চস্বরে পড়া হয়, তাহলে মুসল্লিদের জন্য
মুস্তাহাব হচ্ছে আমিন উচ্চস্বরে বলা। এই ব্যপারে কোন মতপার্থক্য নেই।”
আল-মাজমু ৩/৩৭১।
২. হাম্বালি
মাযহাবঃ “জেহরী আমিন জোরে বলা সুন্নত”
ইমাম ইবনে কুদামাহ রাহিমাহুল্লাহ তাঁর বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব
‘আল-মুগনি’ তে উল্লেখ করেছেন, “ইমাম ও মুক্তাদীদের জন্য সুন্নত হচ্ছে যখন ক্বিরাত
উচ্চস্বরে পড়া হয় তখন আমিন উচ্চস্বরে বলা, এবং যখন ক্বিরাত নিচু স্বরে পড়া হয়, তখন
আমিন নিচুস্বরে বলা।”
আল-মুগনীঃ ২/১৬২।
৩. হানাফী মাযহাবঃ “জেহরী,
সিররি সকল নামাযে আমিন আস্তে বলা সুন্নত”
হানাফী ফুকাহারা আমিন আস্তে বলার দলিল হিসেবে কিছু হাদীস
পেশ করে থাকে। সেই হাদীসগুলো এবং তার সনদের অবস্থা নিচে বর্ণনা করা হলো।
১. শুবা (রহঃ) এই হাদীছটি সালামা ইবন কুহায়ল, হুজর আবুল আব্বাস,
আলকামা ইবন ওয়াইল, সে তাঁর পিতা ওয়াইল রাদিয়াল্লাহু আনহ এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে,
রাসূল “গায়রিল মাগদ্বুবি আ’লাইহিম ওয়ালাদ্বোয়াল্লি-ন” পাঠের পর
আমীন আস্তে বলেছেন.”
এই হাদীসটি (তিরমিযীঃ হা/২৪৯) একই সাহাবী থেকে বর্ণিত
পূর্বের ((তিরমিযীঃ হা/২৪৮) হাদীসের বিপরীত। সুতরাং, হয় এই হাদীসটির সনদটি সহীহ,
পূর্বের সনদটি জয়ীফ/জাল। অথবা পূর্বের সনদটি সহীহ, এই সনদটি জাল/জয়ীফ। রাসুল সাঃ
এর কথা বা হাদীস সহীহ বা দুর্বল হয়না, রসুলের সব কথাই মানতে হবে। কিন্তু রাসুল সাঃ
থেকে হাদীসটি আমাদের পর্যন্ত পৌছাতে যেই রাবী বা মানুষগুলো ছিলেন – তারা কতটুকু
সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ন ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন তাঁর উপরে ভিত্তি করে হাদীস সহীহ
(হাদীসটি নিশ্চিতভাবে রাসুল সাঃ এর কথা বলে প্রমানিত), জয়ীফ (হাদীসটি সন্দেহপূর্ণ,
অর্থাৎ এই কথাটি রাসুল সাঃ আসলেই বলেছিলেন কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়না, ৫০-৫০
অবস্থা) অথবা জাল (এটা কোন হাদীস বা রাসুল সাঃ এর কথা নয়, মিথ্যুক লোকেরা রাসুল
সাঃ নামে এই কথা প্রচার করেছে)।
যাইহোক, আমিন আস্তে বলতে হবে, এই (২৪৯ নাম্বার হাদীস যেখানে
রাসুল সাঃ আমিন আস্তে বলতেন বলা হয়েছে) হাদীসের নিচে ইমাম তিরমিযী নিজেই মন্তব্য
লিখেছেন,
“আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (তাঁর উস্তাদ, যিনি ইমাম বুখরী নামে
বেশি পরিচিত) তাঁকে বলতে শুনেছি যে, এই বিষয়ে সুফইয়ান (রহঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতটি (২৪৮
নং) শুবার রিওয়ায়াতটি (২৪৯ নং) থেকে অধিকতর সহীহ। শুবা এই রিওয়ায়াতটির একধিক স্থানে
ভুল করেছেন।
ক. তিনি সনদে হুজর আবুল আম্বাস এর কথা বলেছেন অথচ তিনি হলেন
হুজর ইবনুল আম্বাস, তাঁর উপনাম হল আবুস সাকান;
খ. আলকামা ইবন ওয়াইলেন নাম অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন অথচ এই সনদে
আলকামার উল্লেখ হবে না; প্রকৃত সনদটি হল, হুজর ইবন আম্বাস ওয়াইল ইবন হুজর রাদিয়াল্লাহু
আনহু,
গ. তাঁর বণনায় আছে। خفض بها صوته রাসূল নিম্নস্বরে আমীন পাঠ করেছেন অথচ প্রকৃত কথা হল مد بها صوته তিনি উচ্চস্বরে তা
পাঠ করেছেন।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) আরো বলেনঃ “আমি ইমাম আবূ যুরআকেও
এই হাদিসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছেন, সুফইয়ানের রিওয়ায়াতটিই অধিক সহীহ।”
আলা ইবন সালিহ আল আসাদীও সালামা ইবন কুহায়লেন সূত্রে এই হাদীছটি
সুফইয়ানের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
قَالَ أَبُو عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ صَالِحٍ الْأَسَدِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَ حَدِيثِ سُفْيَانَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবন আবান আবদুল্লাহ
ইবন নুমায়র আলা ইবন সালিহ আল আসাদী ইবন কুহায়ল হুজর ইবন আম্বাস ওয়ালি ইবন হুজর সূত্রে
সুফইয়ানের অনুরূপ এই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে, ইমাম তিরমিযী আমিন আস্তে বলার হাদীস
উল্লেখ করে এই হাদীসকে ইমাম বুখারী ও ইমাম যুরআ’হ যে সহীহ নয় এবং কেন সহীহ নয়
সেটাও উল্লেখ করে দিয়েছেন।
২.