“জাল হাদীস” কি এবং
ফাযায়েলে আমলের ভেজাল....
সকল হাদীস হাদীস না, অনেক কথাই আছে যেইগুলো জাল।
অর্থাৎ এমন কিছু কথা আছে, যেইগুলো রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোনদিন বলেন নি, কিন্তু মিথ্যুকেরা
এইগুলো রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নামে চালিয়ে দিয়েছে, সেইগুলোকে "মওযু" বা জাল
হাদীস বলা হয়।
জাল হাদীসের উদাহরণঃ
তাবলিগ জামাতের লেখক মাওলানা জাকারিয়া সাহেব
‘ফাযায়েলে আমল’ নামক বিদাতী বইয়ে একটা
কথা বলেছেন, “কেউ যদি এক ওয়াক্ত নামায কাযা করে, তাহলে সে এক হোকবা বা
৮৮ লক্ষ/কোটি বছর আগুনে পুড়বে।”
এটা একটা জাল হাদীস, কারণ লেখক নিজেই স্বীকার
করেছেন, এই হাদীসটা তিনি কোনো হাদীসের কিতাবেই খুজে পান নি। শুধুমাত্র তার উস্তাদের
কাছ থেকে শুনেই তিনি সেটা প্রচার করে দিয়েছেন। তার মানে তিনি জেনে শুনেই জাল হাদীস
প্রচার করেছেন।
জাল হাদীস প্রচার করার শাস্তি কি?
প্রথম কথা হলোঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নামে কোনো
কথা অর্থাত কোনো হাদীস দলীল ছাড়া অথবা যাচাই বাছাই করা ছাড়া প্রচার করা সম্পূর্ণ হারাম।
কারণ রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “কেউ যদি আমার নামে মিথ্যা কথা প্রচার
করে তাহলে তার ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম।” [সহীহ বুখারী]
এখন অনেকে বলতে পারে, মাওলানা জাকারিয়া কাজটা
না জেনে করেছেন। এর জবাব হলো, না তিনি এটা সহ আরো এমন করেছেন ফাযায়েলে আমল নামক বইয়ে।
একটা হাদীস তিনি জানতেছেন জাল (আরবীতে লিখা আছে),
কিন্তু তবওু তিনি সেই হাদীস তার বইয়ে প্রচার
করে দিয়ছেন। তবে অনেকে আছেন যারা না জেনে, যাচাই বাছাই করা ছাড়া শোনা কথার উপর ভিত্ত
করে জাল হাদীস প্রচার করে। এরাও কবীরা গুনাহগার, কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “একজন মানুষের মিথ্যাবাদী
হওয়ার জন্য এতোটুকইু যথেষ্ঠ যে, সে যাই শুনে তাই প্রচার করে বেড়ায়।”
জাল হাদীস প্রচারকারী শয়তানের খাদেমঃ
মুহাদ্দিছ যায়েদ বিন আসলাম (রহঃ) বলেন,
ﻣَﻦْ ﻋَﻤِﻞَ ﺑِﺨَﺒْﺮٍ ﺻَﺢَّ ﺃَﻧَّﻪُ ﻛِﺬْﺏٌ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻦْ ﺧَﺪَﻡِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ .
“হাদীছ মিথ্যা প্রমাণিত
হওয়া সত্ত্বেও যে তার উপর আমল করে সে শয়তানের খাদেম।”
মুহাম্মাদ তাহের পাট্টানী, তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত।
বিঃ দ্রঃ কারো মনে কষ্ট লাগলে দুঃখিত।
#হক্ক_কথা_কটু_লাগে।