কি-বোর্ড জিহাদীদের নিয়ে
আজকে মেসেজবক্সে এক ভাইয়ের সাথে
কথোপকথনঃ
আস সালামু আলাইকুম এডমিন,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কিছুদিন
আগে সরাসরি টিটিপির (পাকিস্থানের স্কুলের হামলার) বিষয়ে পোষ্ট করার জন্য। আমি
আশাকরি আপনারা আপনাদের ইলমকে গোপন করবেন না, এরকম পোষ্ট আমি এই প্রথম
পেলাম। বিশেষ করে যুদ্ধের মধ্যে নারী ও শিশুদের হত্যা করার অপব্যাখ্যা স্পষ্ট করার
জন্য। আমি অত্যন্ত কম জ্ঞানের মানুষ, ফেইসবুকে অনেক কিছুই
পাই যার কারণে অনেক সময় নিজেকে হীন মনে হয়। মাঝে মাঝে ভাবি আদৌ মুসলমান হতে পেরেছি
কী? আমি আপনাকে একটা পিডিএফ শেয়ার করছি, আশাকরি এর ব্যাখ্যা পাবো। আমি সত্য জানতে সর্বদা আগ্রহী।
[উল্লেখ্য, ভাই
একটি লেখা দিয়েছেন যা আমিন বেইগ নামে একজন অনলাইন লিখকের যেখানে ইমাম মাহদী ও
দাজ্জাল নিয়ে জাল-জয়ীফ হাদীস ও মনগড়া বিস্তর অপব্যখ্যা প্রদান করা হয়েছে]
আমাদের জবাবঃ
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
ভাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু
নিয়ে লেখা সম্ভব হয়না। পাকিস্তানে হামলার উপরে ঐ লেখার মূল কন্টেন্ট গত দেড়-দুই বছর
ধরে আমি কয়েকবার লিখেও পোস্ট করিনি, কারণ সেখানে আওলাকিই ছিলো
মূল হোতা যেকিনা অল্পবয়ষ্ক বোকা তরুণদের মাঝে সন্ত্রাসী হামলাকে ইসলাম বলে
সাব্যস্ত করার জন্য। এমেরিকা তাকে হামলা করে হত্যা করেছিলো, এইজন্য
নিহত মানুষের ব্যপারে পেইজে লিখতে ইচ্ছা করতোনা, সোহাগের মতো
জাহেল এই বিষয়ে বাড়াবাড়িটা না করলে হয়তো লেখাটা আরো দেরীতে আসতো।
[ইমাম মাহদী নিয়ে আমিন বেইগের
অপব্যখ্যামূল লেখার উপরে আমাদের মন্তব্য] - এটা সম্পঊর্ণ বানোয়াট, মনগড়া
ব্যখ্যা যা কিছু অকাট মূর্খ লোক ইমাম মাহদী ও দাজ্জাল নিয়ে করেছে।
প্রশ্নকারী ভাইয়ের মন্তব্যঃ
জাজাকাল্লা খাইর ভাই, আমার মেসেজ পড়ার জন্য। আমি প্রায় এক বছর ধরে
বিভ্রান্তির স্বীকার হয়ে আসছি। আগে আমি জিহাদী মুলক অনেক পোষ্ট দিয়েছি, কিন্তু উনাদের মধ্যে (আইএস আইএস এবং নুসরা) ফাটল, ধরার
পর আমার কিছুটা চোখ খুলে যায়। আমি মতিউর রহমান মাদানীর লেকচারও শুনতাম আবার জসিম
উদ্দিন রাহমানীর লেকচারও শুনতাম। কিন্তু বুঝতে পারতাম না কে হকের পথে আছে। শেষ
পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেই নিজে স্টাডি করবো এবং কোন প্রকার পোষ্ট দেয়া থেকে বিরত
থাকবো।
আমাদের মন্তব্যঃ জ্বি ভাই, এটা
অনেক বড় ফেতনা, একদিকে কাফেররা আক্রমন করে মুসলমানদের হত্যা
করছে, অন্যদিকে জাহেল বক্তারা মনগড় ক্বুরান হাদিসের
অপব্যখ্যা করে সূফীবাদ, পীর, ফকির,
কবর মাযার পূজার, তাকফিরী, খারেজী মতবাদ দিয়ে মুসলমানদের আকিদা নষ্ট করছে। চিন্তা করা যায়, রাসুল সাঃ এর মুবারক হাদীস দিয়ে জায়েজ করে দিচ্ছে, স্কুলে
হামলা করে নিরীহ মানুষ গণহত্যা করা জায়েজ, এটাই নাকি জিহাদ।
আওযুবিল্লাহ। শায়খ বিন বাজ, শায়খ ইবনে উসাইমিনদের মতো যুগের
ইমাম যারা এই সমস্ত খারেজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তাদের
কথাকেই কাট-পেস্ট করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পক্ষে লাগাচ্ছ...মিথ্যুক দাজ্জাল।
দেখুন কথিত এই মুজাহিদদের বড় আলেমদের
কি অবস্থা! এর পরে আমি তাকে আমাদের পুরোনো কিছু লেখার লিংক দেই -
মুহাম্মদ আল-আরিফী? সে
কি কোন আলেম?
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/11/blog-post_5.html
আনোয়ার আল-আওলাকির লেকচার শোনা যাবে?
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/09/blog-post_25.html
জসীম উদ্দিন রাহমানী ভক্তদের
কমেন্টের জবাব
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/08/blog-post_0.html
“যুদ্ধে নারী ও
শিশুদেরকে হত্যা করা নিষেধ”
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/12/blog-post_18.html
ফিদায়ী হামলা কি? ফিদায়ী
হামলা কি জায়েজ?
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/12/blog-post_41.html
যুদ্ধে কাফেরদের সাহায্য নেওয়া জায়েজ
কিনা?
১৯৯০ সালে সাদ্দাম হোসেন যখন কুয়েত
আক্রমন করে......
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/11/blog-post_81.html
জসীম উদ্দিন রাহমানীর আলেমদের নামে
মিথ্যা অপবাদ ও গালি-গালাজ
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/09/blog-post_44.html